1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমানকে পলাতক দেখানো হয়েছে

৩ আগস্ট ২০১১

একুশে আগষ্টের গ্রেনেড মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত৷

https://p.dw.com/p/129y5
আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারেক রহমানকে৷ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

তাদের ১৬ই আগষ্টের মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে৷ অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার হবে৷ আর এই মামলায় গ্রেফতার সিআইডির ৩ পুলিশ কর্মকর্তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে৷

মহানগর হাকিম কেশব রায়ের আদালতে আজ ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড মামলায় গ্রেফতার সিআইডির ৩ কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সি আতিকুর রহমান এবং আব্দুর রশিদের জামিন আবেদন করা হয়৷ তাদের জামিন দিলে মামলার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী৷ আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এই ৩ জন কর্মকর্তা জজ মিয়াকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে৷ তারা অনেক নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে৷ আর হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান আদালতে গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে তারা বাধা দিয়েছে৷ পরে অধিকতর তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷

অধিকতর তদন্তের পর ৩০ জনকে আসামি করে এই মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়েছে৷ আদালত এর মধ্যে তারেক রহমান এবং হারিস চৌধুরীসহ ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন৷ তারপরও তারা আদালতে হাজির না হওয়ার আজ তাদের পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত ৷ ১৬ই আগষ্টের মধ্যে তারা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার হবে৷ তবে তারেক রহমানের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া দাবি করেন তারেক রহমান পলাতক নন৷ তিনি সরকারের অনুমতি নিয়েই দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন৷

আদালতে আজ এই মামলার শুনানি চলাকালে বাইরে বিএনপি পন্থী আইজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন৷ তারা দাবি করেন তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ান হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন