1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজব্রাজিল

আদালতের নির্দেশ মানা হলো না, ব্রাজিলে বন্ধ হতে পারে এক্স

৩০ আগস্ট ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আইনি প্রতিনিধির নাম জানাতে হবে এক্স-কে। সেই নির্দেশ মানা হয়নি।

https://p.dw.com/p/4k4lB
ব্রাজিলের পতাকার সঙ্গে এক্স-এর লোগো।
ব্রজিলে এক্স খুবই জনপ্রিয়। ছবি: Andre M. Chang/ZUMA Press Wire/picture alliance

ব্রাজিলের আইন অনুসারে সব ইন্টারনেট কোম্পানিকে তাদের দেশে একজন প্রতিনিধি রাখতে হবে, যিনি আইনগত বিষয় দেখবেন। সেই প্রতিনিধিকে আইনগত বিষয়গুলি জানানো হবে যাতে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

কিন্তু চলতি মাসে এক্স ব্রাজিলে তাদের আইনি প্রতিনিধিকে সরিয়ে দেয়। তারা জানায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মোরায়েস ওই প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়েছিলেন।

বিচারপতি এক্স-কে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন নতুন প্রতিনিধির নাম জানাবার জন্য। তখনই বলে দেয়া হয়েছিল, নির্দেশ পালন না করলে এক্সকে বন্ধ করে দেয়া হবে।

কেন এই সংঘাত?

এক্স-এক বর্তমান মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিক্রিয়া ছিল, বিচারপতি একজন 'স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারীর' মতো ব্যবহার করছেন।

এক্স-এ পোস্ট করে মাস্ক লিখেছিলেন, মোরায়েস হলেন 'বিচারপতির ছদ্মবেশে এক জঘন্য় অপরাধী'।

বিচারপতি মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য ছড়ানোর জন্য এক্স-এ কিছু অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে পারেন কিনা তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। মাস্কের মতে, এই ধরনের নির্দেশ সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

যে সব অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়েছিল, তার অধিকাংশই অতি-ডানপন্থি নেতা বলসোনারোর অনুগামীদের, তাদের মধ্যে অনেকে দাবি করেন, ২০২২-এর নির্বাচনে বলসোনারো হারেননি।

মাস্ক এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তিনি এক্স-এ আবার ওই অ্যাকাউন্ট চালু করবেন। তার অভিযোগ, বিচারপতি মতপ্রকাশের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন।

এরপরই বিচারপতি মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেন। এছাড়া মাস্ক যেভাবে বাধা দিচ্ছেন, তা নিয়েও আলাদা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

স্টারলিংকের উপর নিষেধাজ্ঞা

বৃহস্পতিবার মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর স্টারলিংকের উপর নিষে্ধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, স্টারলিংক ব্রাজিলে কোনো আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। তাদের সম্পদ ফ্রিজ করার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন।

স্টারলিংক জানিয়েছে, তারা আইনি পথে হাঁটবে।

এদিকে আইনি প্রতিনিধি নিয়োগের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এক্স একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা মনে করছে, ব্রাজিলে তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। তারা জানিয়েছে, অন্যদের মতো আমরা গোপনে বেআইনি নির্দেশ মানব না। ব্রাজিল-সহ গোটা বিশ্বে এক্স মতপ্রকশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ।

ব্রাজিলে সামাজিক মাধ্যম এক্স যথেষ্ট জনপ্রিয়। রাজনীতিবিদরাও এক্সের মাধ্যমে অনেকসময় তাদের মতপ্রকাশ করেন।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)