1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালতে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার অভিযোগ খারিজ

২ জুন ২০২২

জাপানি নারী নাকানো এরিকো তার সাবেক স্বামী ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করলে তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷

https://p.dw.com/p/4CAlN
ছবি: Africa Studio - Fotolia.com

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, বৃহস্পতিবার একই সাথে এরিকোর বিরুদ্ধে ইমরানের করা পাল্টা আদালত অবমাননার আবেদন এবং তাদের দুই শিশুকে নিয়ে জাপানে যেতে এরিকোর আরেকটি আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ৷

আদালতে এরিকোর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির৷ অন্যদিকে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম৷

ইমরান ও এরিকোর তিন সন্তানের মধ্যে একজন আছে জাপানে৷ আদালতের আদেশে বাকি দুজন ঢাকায় তাদের মায়ের সঙ্গে আছে৷ আদালতের নির্দেশেই মায়ের জিম্মায় থাকা শিশুদের সঙ্গে বাবার দেখা করার সুযোগ রয়েছে৷ তবে ইমরান শরীফ এ নির্দেশনা অমান্য করে জোর করে মাঝে মাঝেই শিশুদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান বলে এরিকোর অভিযোগ৷ সে কারণে এরিকো গত ১৬ মে ইমরানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন৷

অন্যদিকে ইমরানের অভিযোগ, আদালতের আদেশের পরও সন্তানদের সঙ্গে সে অনুযায়ী তাকে দেখা করতে দেওয়া হয় না৷ সে কারণে একই দিনে তিনি আদালত অবমাননার পাল্টা অভিযোগ করেন সাবেক স্ত্রী এরিকো নাকানোর বিরুদ্ধে৷

এদিকে গ্রীষ্মের ছুটিতে দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে ১৭ মে আপিল বিভাগে আরেকটি আবেদন করেছিলেন মা এরিকো নাকানো৷ তবে শুনানি শেষে তিনটি আবেদনই আদালত খারিজ করে দেয় বলে জানিয়েছেন এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির৷

জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে৷ দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো৷

এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন৷ ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান৷

মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন জাপানি মা৷  তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলে বিচারক৷ কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়৷ পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়৷

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো৷ পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন৷ পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেয়৷  

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়, জাপানি মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি ইমরান শরীফের দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে৷ ওই সময় পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে৷ মায়ের সাথে আলোচনা করে শিশুদের সাথে দেখা করতে পারবেন বাবা৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)