অপারেটররাও দায়ী!
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩এই অভিযোগ জার্মানির বার্লিনের ‘সিকিউরিটি রিসার্চ ল্যাব' এর প্রধান বিজ্ঞানী কার্স্টেন নোল-এর৷ তাঁর এই অভিযোগের গুরুত্ব রয়েছে এই কারণে যে, তাঁর একটি গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে কমাস আগে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন সব দেশকে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল৷
সাম্প্রতিক সময়ে নোল বলেছেন, কিছু কিছু মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি' এনএসএর পক্ষে আড়িপাতা সম্ভব হয়েছে৷ যেমন কদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এনএসএ-র পক্ষে ‘এ৫/১' কোড ভাঙা সম্ভব৷ নোল বলছেন, এই কোড সুরক্ষিত করার প্রযুক্তি ২০০৮ সাল থেকেই পাওয়া যাওয়া গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠান সেই প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি৷
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চাপের কারণে মোবাইল কোম্পানিগুলো এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি বলে মনে করেন না নোল৷ এর জন্য কোম্পানির কর্মকর্তাদের ‘অসতর্কতা'-ই দায়ী বলে মনে করেন তিনি৷ কোম্পানিগুলোর অমনোযোগিতার কারণে হ্যাকারদের পক্ষে সিমকার্ডের ক্লোন কিংবা নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব হয়ে থাকে, বলে জানান এই সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ৷
নোল ও তাঁর কোম্পানি ‘জিএসএম সিকিউরিটি ম্যাপ' নামক একটি প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বিশ্বের অনেকগুলো মোবাইল অপারেটরের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ সেসব তথ্যের ভিত্তিতেই নোল মোবাইল অপারেটরদের দায়ী করা সংক্রান্ত তাঁর মন্তব্যটি করেছেন৷
জিএসএম সিকিউরটি ম্যাপ অনুযায়ী ফ্রান্সের মোবাইল অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জানা গেছে৷ তবে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ঐ ম্যাপে কোনো মতামত অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে বার্লিনের সংস্থাটি৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এপি)