1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আট দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকেরা

২০ নভেম্বর ২০২৩

আট দিন পরেও উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। বিশেষ পাইপের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে খাবার ও জল।

https://p.dw.com/p/4Z9tN
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিকছবি: Indo Tibetan Border Police/AP Photo/picture alliance

পাঁচটি প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল নিয়ে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আটদিন হয়ে গেলেও এখনো তাদের উদ্ধার করা যায়নি। তবে ৪১ জন শ্রমিকই ভিতরে বেঁচে আছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। তাদের পাইপের মাধ্যমে খাবার এবং জল দেওয়া হচ্ছে। পাইপের সাহায্যেই সুড়ঙ্গের ভিতর বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল শ্রমিকদের। সোমবার সকাল থেকে তাদের কাছে ভাত-রুটি-তরকারি পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বেশ কিছু নতুন যন্ত্রও আনা হয়েছে ঘটনাস্থলে। গোটা উদ্ধারকাজটি পরিচালনার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব অনুরাগ জৈনকে। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে তিনি শেষকথা বলে মনে করেন বহু বিশেষজ্ঞ।

সংবাদমাধ্যমকে অনুরাগ জানিয়েছেন, পাঁচটি অত্যন্ত পারদর্শী দলকে নিয়ে নতুন করে উদ্ধারকাজের নকশা তৈরি করেছেন তিনি। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবরকমভাবে ওই শ্রমিকদের বাঁচাতে হবে। ফলে সুড়ঙ্গের সমস্ত দিক থেকে ড্রিলের কাজ শুরু হবে।

যে পাঁচটি সংস্থা তাদের প্রশিক্ষিত দল পাঠিয়েছে উদ্ধারকাজে, তারা হলো, অয়েল অ্যান্ড নেচার গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি), সাতলুজ জলবিদ্যুৎ নিগম, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। প্রতিটি সংস্থাই নিজেদের মতো করে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ করছে।

বর্ডার রোড কর্পোরেশন এবং সেনা বাহিনীাও এই দলগুলির সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগাচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য সবরকম রাস্তাই খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত বিশেষ পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছিল। সোমবার থেকে তাদের কাছে ভাত, রুটি এবং তরকারি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে সেদিকে আলাদা করে নজর রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের দলও রাখা হয়েছে।

১৯২ ঘণ্টা হতে চলল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকেরা। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরি করে রাস্তার কাজ করছিলেন তারা। আচমকাই পাহাড়ে ধস নামে। আর তার জেরে যে সুড়ঙ্গ তারা তৈরি করছিলেন তার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যাধুনিক যন্ত্র এনে সেই মুখ খোলার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এখনো তা খোলা সম্ভব হয়নি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)