1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

আকাশপথ খুলে দিলো ইরাক, জর্ডান, লেবানন

১৪ এপ্রিল ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে নিজেদের আকাশপথ বন্ধ রেখেছিল ইরাক জর্ডান ও লেবানন৷ তবে রোববার আকাশসীমা ফের খুলে দিয়েছে ইরাক৷ ইরাকের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ কথা ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/4ek3U
আকাশপথে যাটজটের গ্রাফিকাল ছবি
ইরাকের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ‘আকাশপথ ফের খুলে দেয়ার' কথা জানিয়েছে।ছবি: Flightradar24.Com/Handout via REUTERS

জর্ডান এবং লেবাননও রোববার দেশের আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে।ইসরায়েলের দাবি, ইরানের হামলাগুলোকে ‘প্রতিহত' করেছে তারা৷

ইরাকের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ‘আকাশপথ ফের চালু করার' কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, আর কোনো ‘‘বেসামরিক বিমানের নিরাপত্তা ঝুঁকি'' নেই৷

 উত্তর ইরাকের কুর্দি মিডিয়া জানিয়েছে, শনিবার রাতভর স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়েছে ইরানি ড্রোন৷

 জর্ডানে, বেসামরিক বিমান চলাচল কমিশনের প্রধান হাইথাম মিস্তো সরকারি আল মামলাকা চ্যানেলকে বলেন, ‘‘জর্ডানের আকাশপথ ফের খুলে দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে৷''

ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার রয়্যাল জর্ডানিয়ান-এর সিইও সামের মাজালি রোববার বলেন, এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘‘পুনরায় শুরু হয়েছে৷''  যদিও দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা৷

শনিবার রাতে ইসরায়েলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র এবং ধীর গতির ড্রোনগুলো যখন ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ইসরায়েলের মিত্ররা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনী এক্ষেত্রে সাহায্য করেছে বলা জানা গিয়েছে। এছাড়াও ফ্রান্সও এই অঞ্চলে টহল দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, যদিও ফরাসিরা গুলি চালিয়ে ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে নিশ্চিত করা হয়নি।

জর্ডানের বিমানবাহিনীও ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলো। জর্ডান ইসরায়েলি এবং মার্কিন বিমানের জন্য তার আকাশসীমা উন্মুক্ত করেছে, স্পষ্টতই জর্ডানের নিজস্ব আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ড্রোনগুলোকে গুলি করে।

লেবাননের পরিবহন মন্ত্রী আলি হামি এএফপিকে বলেছেন, ‘‘আমরা সকাল ৭টা (স্থানীয় সময়) থেকে ফ্লাইট ফের চালু করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি৷''

তার কথায়, বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘‘ফের কাজ চালু করেছে৷''

ইরানি হামলার পূর্বাভাসে রাত ১২.৩০টা (স্থানীয় সময়) থেকে আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছিল ইসরায়েল৷ তারপর স্থানীয় সময় সকাল ৭.৩০টা নাগাদ আবার তা চালু হয়েছে বলে ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সংস্থাগুলো কী  সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ইরানের আকাশসীমা এড়াতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থা ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে বা সময়সূচির বদল করেছে৷

অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স রবিবার এএফপিকে বলেছে,‘‘মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির'' কারণে ‘‘ইসরায়েলের তেল আভিভ, ইরাকের আরবিল এবং জর্ডানের আম্মানে সমস্ত ফ্লাইট দ্রুত স্থগিত করা হয়''।

মুখপাত্র সোফি মাতকোভিৎস বলেন, ‘‘সোমবার পর্যন্ত তেল আভিভ, আরবিল এবং আম্মান অবধি বা সেখান থেকে কোনো ফ্লাইট যাতায়াত করবে না৷''  কর্মী ও যাত্রীদের নিরাপত্তা কোম্পানির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেই জানান তিনি৷

ইরানের তেহরানে ফ্লাইট স্থগিত থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত৷ মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়া দূরপাল্লার ফ্লাইটগুলো অন্য পথে যাবে বলে জানানো হয়েছে৷

জার্মানির লুফটহানসা এয়ারলাইন্স রোববার বলেছে, ইরানের হামলার কারণে আম্মান, বৈরুত, আরবিল এবং তেল আভিভের ফ্লাইট অন্তত সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হবে৷

রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লুফটহানসা, সুইস এয়ারলাইন্স বলেছে, ফ্লাইটগুলো যাতে ইসরায়েল, জর্ডান এবং ইরাকের উপরের আকাশসীমা ব্যবহার না করে তারা সেটা দেখছে।

‘দায়িত্বহীন অবস্থান' নিয়ে ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের তলব ইরানের

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে বলেছে, তাদের দেশ হামলার বিষয়ে ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থান'' নিয়েছে। তিনটি দেশই ইরানের এই হামলার নিন্দা করে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান৷ সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তেহরানের প্রতিশোধের হুমকির মধ্যে এই ঘটনা ঘটে৷ ইরানের ড্রোন ও মিসাইল ছোঁড়ার তথ্য জানিয়েছে দুই পক্ষই৷ 

ইরানি ড্রোন ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য হুমকি: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেন। হামলার সম্ভাব্য ফলাফলকে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

তিনিসোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘ইরানের পদক্ষেপগুলো সমগ্র অঞ্চল এবং বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে, ঠিক যেমন রাশিয়ার পদক্ষেপগুলো বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি দেয়।''

 আরকেসি/আরআর (এফপি, ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)