1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসিসির বিচারকদের বিচারের হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য মিয়ানমার এবং আফগানিস্তানে ‘যুদ্ধাপরাধের জন্য' যুক্তরাষ্ট্রের বিচারের কথা বলেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি৷ এবার আইসিসির কৌঁসুলিদেরই বিচারের হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/34esL
Deutschland Justitia bei Sonnenaufgang
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst

রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা৷ গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷

তাঁর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন উলটো আইসিসির কৌঁসুলিদেরই বিচার করার হুমকি দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের নাগরিক ও মিত্রদের এই অবৈধ আদালতের অন্যায় বিচার প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র৷''

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সদস্যরা তাঁদের হাতে আটক বন্দিদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছেন, তা যুদ্ধাপরাধ কিনা, সেটি তদন্ত করতে চেয়েছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি বেনসুদা৷ তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে খুঁটিনাটি পরীক্ষা' করে তাঁর মনে হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা যায়৷

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেন, আইসিসি যদি বিচার শুরুর চেষ্টা করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে লাগবে৷ ‘‘আমরা তাদের বিচারক ও আইনজীবীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করব৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় তাঁদের বিচার করব৷ অ্যামেরিকানদের বিরুদ্ধে আইসিসির বিচার প্রক্রিয়ায় যে কোম্পানি ও দেশ সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে,'' সোমবার ওয়াশিংটনে বলেন তিনি৷

আইসিসির কাজে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে না বলেও জানান জন বোল্টন৷

তাঁর এসব মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা৷ ‘অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন' বা এসিএলইউ এক বিবৃতিতে বোল্টনের হুমকিকে ‘বিভ্রান্তকর' ও ‘ক্ষতিকর' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে৷ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের চেয়ে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করে এসিএলইউ৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির কারণে যুদ্ধাপরাধী ও কর্তৃত্ববাদী শাসকরা আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা এড়ানোর উৎসাহ পাবে৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, আইসিসির তদন্তকে বাধা দেয়ার চেষ্টার কারণে মনে হবে যে, মার্কিন প্রশাসন আসলে ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন৷

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম আইসিসির রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী হলেও পরে সমর্থন সরিয়ে নেয়৷ অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মাঝেমধ্যে আইসিসির কাজে সহযোগিতা করেছেন৷ তবে জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় আইসিসির বিরুদ্ধে ছিলেন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য