1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইপিএল থেকে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিদায়

২১ জানুয়ারি ২০১০

২০১০ সালের মরশুমে ক্রিকেটারদের নিলামের সময় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিতে চাইল না কোনো ক্লাব৷ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত শুরু হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/Lck4
আইপিএল প্রধান ললিত মোদি বর্তমান পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়েছেনছবি: AP

ক্রিকেট জগতে ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ' যে উৎসাহ উদ্দীপনা এনে দিয়েছে, তা সত্যি অবাক করার মত৷ বিশ্বের সব প্রান্তের সেরা খেলোয়াড়রা ক্লাব-ক্রিকেটের এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে ক্রিকেটকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তা একমাত্র আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে তুলনীয়৷

আইপিএল'এ ক্লাবের জন্য ক্রিকেটার খুঁজতে এখনো পর্যন্ত অর্থ কোন অন্তরায় হয় নি৷ এমনকি নিলামের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের কিনে নিচ্ছে ক্লাবগুলি৷ কিন্তু এবার রাজনীতির ছায়া এসে পড়েছে এই ক্রিকেট লিগের উপর৷ চলতি মরশুমে খেলোয়াড়দের নিলাম শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, যে ১১ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের মধ্যে কাউকেই নিতে আগ্রহী নয় ক্লাবগুলি৷ সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে ক্লাবগুলি পিছিয়ে এসেছে – এমন অভিযোগও শোনা হচ্ছে৷ এই মনোভাবের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ভারতে খেলার জন্য ভিসা নাও পেতে পারেন৷ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, যে ২০১০ সালে আইপিএলে অংশ নেওয়ার জন্য ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে ১৭ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে অত্যন্ত দ্রুত প্রয়োজনীয় ভিসা দেওয়া হয়েছে৷

পাকিস্তানে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ শাহিদ আফ্রিদি বিষয়টিকে অত্যন্ত অপমানজনক হিসেবে গণ্য করছেন৷ সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যে পাকিস্তানিদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তার জন্য ভারত বা অন্য যে কোন দেশের নাগরিকদের প্রতি পাকিস্তানে একই রকম আচরণ করা হবে৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেছেন, আইপিএলের সঙ্গে ভারত সরকারের কোন সম্পর্ক নেই৷ তাই পাকিস্তানকে বিষয়টি আলাদা করে দেখতে হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক