1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যজার্মানি

আইন কার্যকর না করার ঘোষণায় জার্মানিতে বিতর্ক

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আগামী মাস থেকে জার্মানিতে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রমে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক হচ্ছে৷ বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আচমকা বেঁকে বসায় তুমুল বিতর্ক দেখা যাচ্ছে৷ সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রশ্নেও বিভ্রান্তি বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/46j41
বৃদ্ধনিবাস ও হাসপাতালে কর্মরতরা করোনা টিকা না নিলে কাজ করতে পারবেন না
বৃদ্ধনিবাস ও হাসপাতালে কর্মরতরা করোনা টিকা না নিলে কাজ করতে পারবেন নাছবি: Slavomir Kubes/CTK/dpa/picture alliance

জার্মান সংসদে আইন অনুমোদনের পরেও কোনো রাজ্যের সরকার সেই আইন প্রয়োগ করতে অস্বীকার করছে, এমন আইনি সংকট অত্যন্ত বিরল ঘটনা৷ কিন্তু বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার ঠিক এমনই বিতর্কিত ঘোষণা করে তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন৷

জার্মানিতে এখনো সবার জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবার একাংশের জন্য সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ ডিসেম্বর মাসে সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ই মার্চ থেকে সেই আইন কার্যকর হচ্ছে৷ এর আওতায় বৃদ্ধাবাস ও হাসপাতালে কর্মরত মানুষ করোনা টিকা না নিলে আর কাজ করতে পারবেন না৷ স্যোডারের আশঙ্কা, এখনই এমন কড়া পদক্ষেপ নিলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আচমকা কর্মীর অভাব দেখা যাবে৷ রক্ষণশীল সিডিইউ দলের প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসও একই যুক্তি দেখিয়ে আপাতত এই আইন কার্যকর না করার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তাছাড়া সরকারের উদ্দেশ্যে এমন কড়া আইন প্রয়োগের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অস্পষ্টতা কাটানোর ডাক দিয়েছেন তিনি৷

জার্মানির জোট সরকারের অন্যতম শরিক উদারপন্থি এফডিপি দল প্রধান বিরোধী শিবিরের এমন অবস্থানের তুমুল সমালোচনা করেছে৷ দলের উপ সভাপতি ইয়োহানেস ফোগেল মনে করিয়ে দিয়েছেন, সিডিইউ ও বাভেরিয়ার সিএসইউ দলই নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল৷ তারপর সংসদের উভয় কক্ষেই তারা আইনি খসড়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে৷ এখন আচমকা অবস্থান বদল করে ইউনিয়ন শিবির মোটেই আর নির্ভরযোগ্য সহযোগীর পরিচয় দিচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ মঙ্গলবার বলেন, বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে জাতীয় আইন কার্যকর করতে বাধ্য করার কোনো প্রক্রিয়া নেই বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তি ও সুবুদ্ধির জয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ তার মতে, কোনো আইন অনুমোদন হবার পর সেটি সহজে প্রত্যাহার করা যায় না৷ এ ক্ষেত্রে বাভেরিয়া রাজ্য আপাতত স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা টিকা আছে কিনা, তা যাচাই না করলে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলিও টিকা না নেওয়া কর্মীদের তালিকাও প্রস্তুত করবে না৷

স্বাস্থ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যেও বিষয়টিকে ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে৷ রাজ্যগুলি ইচ্ছামতো টিকা সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করলে বিশাল বিভ্রান্তির আশঙ্কা করছে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ৷ মুখ্যমন্ত্রীরা শেষ পর্যন্ত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একক নীতি কার্যকর করবে বলে এই ক্ষেত্র আশা প্রকাশ করেছে৷

এমন বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগের উপরেও কালো ছায়া পড়ছে৷ প্রাতিষ্ঠানিক স্তরেই এত বাধা এলে গোটা দেশে সব প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এমন নিয়ম কার্যকর করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান