1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে লিবিয়া

২৭ আগস্ট ২০১৭

সিরিয়া-লিবিয়া সীমান্তে ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস-এর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে লিবিয়ার সামরিক বাহিনী৷ মূলত আইএস-এর কাছে বন্দি লিবীয় সেনাদের উদ্ধারে সমঝোতার অংশ হিসেবে এই বিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/2ivMS
Libanon Offensive gegen IS
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Lebanese Army Website

সিরিয়া-লিবিয়া সীমান্তে আইএস নিয়ন্ত্রিত ছিটমহলে রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি৷ সেখানে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল সিরিয়া এবং লিবিয়ার সেনাবাহিনী৷ রাস বালবেক শহরের কাছে এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য হচ্ছে অপহৃত সেনাদের উদ্ধারে সমঝোতার সর্বশেষ পর্যায়ের পথ সুগম করা বলে জানিয়েছে লিবিয়ার সেনাবাহিনী৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লিবিয়ার ন'জন সেনাসদস্যকে বন্দি করে আইএস৷ এরপর তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি৷ তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, বন্দি সেনাদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ 

সিরিয়া যুদ্ধের রেশ বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে লিবিয়া৷ দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ইসলামিক স্টেটসহ অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর উপস্থিতি বেড়েছে৷ দু'সপ্তাহ আগে আইএসনিয়ন্ত্রিত এলাকায় একইসময়ে কিন্তু আলাদাভাবে অভিযান শুরু করে লিবীয় এবং সিরীয় সেনাবাহিনী৷ যুদ্ধে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সমর্থন করছে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবোল্লাহ৷ লিবিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সিরিয়া এবং হিজবুল্লাহও সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে হিজবোল্লাহ'র পেছনে রয়েছে ইরান৷ ফলে লিবিয়া এবং সিরিয়ার ঘোষিত এই যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে৷ বরং এর ফলে সিরিয়া যুদ্ধ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে৷

সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী অবশ্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী বা আইএস - কোনোপক্ষকেই সমর্থন করে না৷ তবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সিরিয়ায় যুদ্ধরত বিভিন্ন গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছে৷ সেখানে যুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ৷ আর প্রাণ বাঁচাতে পাশের দেশ তুরস্ক, লেবাননসহ ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক সিরীয় নাগরিক৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)