1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএসের সঙ্গে যোগ, বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার ডাক্তার

১৯ আগস্ট ২০২০

বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে আইএসের যোগ আছে।

https://p.dw.com/p/3hBQB
ছবি: picture-alliance/zumapress.com/C. Guzy

আব্দুর রহমানের বয়স ২৮ বছর। বেঙ্গালুরুর একটি নামী হাসপাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। এনআইএ-র দাবি, তার সঙ্গে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্সের যোগাযোগ আছে। আব্দুর রহমান তাদের জন্য একটি মেডিকেল অ্যাপ বানাচ্ছিল। সে সিরিয়ায় আইএস শিবিরে গিয়েও দশ দিন থেকে এসেছে।

আইএসকেপি-র সঙ্গে ভারতীয়দের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসে কিছুদিন আগে দিল্লি পুলিশ এক কাশ্মীরি দম্পতিকে গ্রেফতার করার পর। দিল্লির ওখলা বিহারের জামিয়া নগর থেকে পুলিশ জে এস ওয়ানি ও তাঁর স্ত্রী হিনা বশির ওয়ানিকে গ্রেফতার করে। জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দম্পতি আইএসকেপি-র সঙ্গে যুক্ত। আইএসকেপি হলো আইএসআইএস-এর অনুমোদিত শাখা। আবু ধাবিতে আইএসের একটি মডিউলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা নাশকতামূলক কাজ করার পরিকল্পনা করেছিল। সেই মডিউলের সঙ্গে জড়িত আবদুল্লাহ বাসিথকেও এনআইএ গ্রেফতার করেছে এবং সে এখন তিহার জেলে আছে। 

এনআইএ মুখপাত্র সনিয়া নারাং জানিয়েছেন, জেরার সময় আব্দুর রহমান স্বীকার করেছে যে, ওয়ানি এবং সিরিয়া ভিত্তিক আইএস নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। নিরাপদ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তারা যোগাযোগ রাখত। আব্দুর রহমান একটি মেডিকেল অ্যাপ বানানোর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছিল, যার সাহায্যে আহত আইএস ক্যাডারদের সাহায্য করা যেত।

এনআইএ তদন্ত করে দেখেছে, রহমান ২০১৪ সালে সিরিয়া গেছিল এবং সেখানে আইএসআইএস মেডিকেল শিবির দেখেও এসেছিল। ভারতে ফেরার আগে দশদিন সে ওই শিবিরে ছিল। নারাং জানিয়েছেন, রহমানকে গ্রেফতার করার পর এনআইএ তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

রহমান এবং কাশ্মীরি দম্পতি ছাড়াও পুনের দুই জন বাসিন্দা সাদিয়া আনোয়ার শেখ ও নাবিল সিদ্দিক খাতরিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারাও আইএসআইএসেরহয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করার পরিকল্পনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

জিএইচ/এসজি(এনডিটিভি)