1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএসএলের দুই টিমের স্পনসরের বেটিং-যোগ?

১৬ নভেম্বর ২০২০

ভারতের এক নম্বর ফুটবল লিগ আইএসএল। সেখানে দুইটি ক্লাবের স্পনসরের সঙ্গে অনলাইন বেটিং-এর যোগ আছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3lLyw
ছবি: DW/S. Payel

আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল। এ বারই প্রথম দেশের এই এক নম্বর ফুটবল লিগে খেলছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহন বাগান। কিন্তু শুরুর আগেই আইএসএলে বেটিং-বিতর্ক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট হলো, দুই ক্লাব এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই এফ সি-র স্পনসরের পিছনে আছে অনলাইন বেটিং কোম্পানি।

এ বার এটিকে মোহনবাগানের স্পনসর হলো এসবিওটপ এবং মুম্বই এফসি-র স্পনসর হলো ডাফা নিউজ। রিপোর্ট বলছে, ডাফা নিউজের পিছনে আছে ফিলিপাইন্স ভিত্তিক অনলাইন বেটিং কোম্পানি ডাফাবেট। এসবিওটপ-ও ক্রিকেট ও ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলার বেটিং টিপস দেয়। তারা অনলাইন বেটিং সংস্থার সঙ্গেও জড়িত। চুক্তি অনুযায়ী দুইটি টিমের জার্সিতেই স্পনসরের লোগো থাকবে।

মোহনবাগানের তরফে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে, তাদের স্পনসর এসবিওটপ ডট নেট একটা অনলাইন খেলার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। তারা ভারতে ও বিশ্বে বিভিন্ন খেলার খবর করে।

ভারতে বেটিং নিষিদ্ধ। ক্রিকেটে বেটিং কেলেঙ্কারি একসময় পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ক্রিকেটে এখনো মাঝেমধ্যে বেটিং-এর অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন হলো, অনলাইন বেটিং-ও কি নিষিদ্ধ? সাংবাদিক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''বেটিং নিষিদ্ধ মানে তো অনলাইন বেটিং-ও নিষিদ্ধ। কারণ, ভারতে সব ধরনের জুয়ার উপরেই নিষেধাজ্ঞা আছে। এখন আইএসএল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।''

গত মাসে তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, পয়সা দিয়ে অনলাইন গেমিং, অনলাইম বেটিং, অনলাইন গ্যাম্বলিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  তারা সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও দিয়েছে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''ভারতে অনলাইন বেটিং করা যায় না। তবে কিছু মানুষ যে লুকিয়ে চুরিয়ে বিদেশি সাইটে বেটিং করেন না তা নয়। তবে ভারতে অনলাইন বেটিং করা নিষিদ্ধ।'' অরিন্দম জানিয়েছেন, ''আইপিএলের সময়ও একটি গেমিং ওয়েবসাইটকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু ক্রিকের্ট বোর্ড জানিয়ে দেয়, ওই সাইটের সঙ্গে বেটিং-এর কোনো সম্পর্ক নেই।''  তবে এখানে অভিয়োগ, মূল স্পনসরের পিছনে আসল কোম্পানি বেটিং-এর সঙ্গে জড়িত। 

এখন আইএসএলের স্পনসরের পিছনে বেটিং সংস্থার অভিযোগ আসায় স্বাভাবিকভাবেই সোরগোল হচ্ছে। কারণ, এ বার মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মতো সমর্থকপ্রধান দল আইএসএলে যোগ দিয়েছে। ফলে এই ফুটবল লিগ ঘিরে আকর্ষণও অনেক বেড়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম এটিকে-মোহনবগানের ডার্বি ম্যাচ হবে। তা নিয়েও উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এর মধ্যে দুইটি টিমের স্পনসরের সঙ্গে বেটিং যোগের অভিযোগ আসায় তা নিয়ে আলোড়ন স্বাভাবিক।

জিএইচ/এসজি(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)