1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

অ্যামেরিকার উপগ্রহ ধ্বংসের হুমকি রাশিয়ার

২৮ অক্টোবর ২০২২

রাশিয়ার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার একথা বলেছেন। অন্যদিকে, মধ্য ইউক্রেনে তীব্র বিদ্যুৎসংকট।

https://p.dw.com/p/4ImWH
মহাকাশ-যুদ্ধ
ছবি: Science Photo Library/imago images

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেছেন, অ্যামেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলির যে বাণিজ্যিক উপগ্রহ মহাকাশে আছে, রাশিয়া তা ধ্বংস করতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলি যেভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেছেন তিনি। বস্তুত, ওই কর্মকর্তার হুমকি, এরপরেও ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিলে পশ্চিমা দেশগুলিকে বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।

রাশিয়ার ওই কর্মকর্তার নাম কনস্ট্যানটিন ভরোনৎসভ। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা তাস মিডিয়া তার এই বক্তব্য প্রচার করেছে।

ভরোনৎসভ কোনো নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট সংস্থার নাম উল্লেখ করেননি। তবে এলন মাস্কের স্পেস এক্স অন্যতম টার্গেট হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। মস্কের স্পেস এক্স রকেটের সাহায্যে মহাকাশে স্টার লিঙ্ক উপগ্রহ স্থাপন করা হয়েছে। এই উপগ্রহ থেকে পাওয়া ইন্টারনেটের উপর ইউক্রেনের প্রশাসন নির্ভর করে আছে। বস্তুত, যুদ্ধেও এই ইন্টারনেট প্রভূত সাহায্য করছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া মাস্কের ওই উপগ্রহ ধ্বংস করলে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হবে অ্যামেরিকা। বস্তুত, এবিষয়ে গত সপ্তাহে মাস্ক সরব হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যামেরিকা বলেছিল, ইউক্রেনের ইন্টারনেটের জন্য মার্কিন প্রশাসন মাস্কের সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য দেবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার এই হুমকি যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই প্রথম মহাকাশে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। রাশিয়া উপগ্রহ ধ্বংস করলে অন্য দেশগুলিও সেই পথে এগোতে পারে তাদের আশঙ্কা।

রাশিয়ার নিহত সেনা

যুদ্ধে রাশিয়ার কত সেনা মারা গেছে, এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত মস্কো কোনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি পুটিন-ঘনিষ্ঠ রামজান ক্যাদিরভ জানিয়েছেন, তার ২৩ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রামজান। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনের শেলিংয়ে খেরসন অঞ্চলে চেচনিয়ার ২৩ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ৫৮ জন আহত। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তার সেনা ৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছে।

তীব্র বিদ্যুৎসংকট

ইউক্রেন তীব্র বিদ্যুৎসংকটের মুখোমুখি হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ-সহ মধ্য ইউক্রেনে প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে গেছে। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে রাশিয়া প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আক্রমণ চালাচ্ছে। সেখানে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। ফলে রাজধানীতেও বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনন্ত সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকতে পারে সতর্ক করে দিয়েছে কিয়েভের প্রশাসন।

ক্রমশ ঠান্ডা বাড়ছে ইউক্রেনে। ঠান্ডায় হিটিং ছাড়া কীভাবে বাঁচবেন বেসামরিক মানুষ, তা-ও এক বড় প্রশ্ন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)