1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'অ্যামেরিকাকে ইউরোপীয়দের সম্মান করা উচিত'

৩ জানুয়ারি ২০১৯

অ্যামেরিকাকে সম্মান করা উচিত ইউরোপীয়দের – এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ২০১৯ সালে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ইউরোপীয়দের সমালোচনা করেন৷

https://p.dw.com/p/3Ayu9
ছবি: Imago/ZUMA Press/A. Drago

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি জানেন ইউরোপে তিনি জনপ্রিয় নন৷ কিন্তু এতেই তিনি খুশি৷কারণ, তাঁর মতে, জনপ্রিয় হলে হয়তো তিনি তাঁর কাজ করে যেতে পারতেন না৷ তবে তাঁর দেশ ইউরোপকে যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, সেটি ইউরোপীয়দের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না বলে মনে করেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপের দেশগুলোতে আমার জনপ্রিয়তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই৷ কিন্তু আমার দেশের প্রতি আরো ন্যায্য আচরণ প্রত্যাশা করাটাই আমার কাজ, এজন্যই আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷''

এ সময় তিনি সামরিক ব্যয় বৃ্দ্ধিতে ইউরোপের আরো মনোযোগ দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন৷ ট্রাম্প ন্যাটোর বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম তুলে ধরে ব্যয়ের প্রসঙ্গে কথা বলেন৷ তিনি ইউরোপের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা প্রসঙ্গেও কথা বলেন৷

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইউরোপ বরাবরই প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য নীতিতে অ্যামেরিকার সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে আসছে৷ তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরাই বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা ব্যয়ে জার্মানিকে এক শতাংশ ব্যয়ের সুযোগ দিয়েছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চার শতাংশ অর্থ দিতে বাধ্য৷

সম্প্রতি পিউ রিসার্চের এক জরিপে দেখা গেছে, ইউরোপে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ভীষণ কম৷ জরিপে দেখা যায়, ১০ শতাংশ জার্মান, ৯ শতাংশ ফ্রেঞ্চ, ৭ শতাংশ স্প্যানিশ ও ২৮ শতাংশ ব্রিটিশ মনে করে, ট্রাম্প ইতিবাচকভাবেই বৈশ্বিক সংকট সমাধানে কাজ করছেন৷ অন্যদিকে মাত্র ৪১ শতাংশ জার্মান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়ানোর পক্ষে৷

এসব জরিপ প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ইউরোপীয়রা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি, আমি মার্কিনীদের ভোটে বিজয়ী হয়েছি৷ তাই আমি এটিকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনছি না৷'' তবে তিনি আরো বলেন, ‘‘ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, এবং তাঁরা আমার বন্ধু৷ সেই সম্পর্ক অটুট থাকবে৷''

এফএ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য