1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

এবিষয়ে আলোচনা করতে মেক্সিকোয় গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তারপরেই দুই দেশ এবিষয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।

https://p.dw.com/p/4agOB
মেক্সিকো-অ্যামেরিকা সীমান্তের ছবি
অ্যামেরিকা-মেক্সিকোর কাঁটাতার পার করার চেষ্টাছবি: Christian Torres/Anadolu/picture alliance

কয়েক হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে। এত পরিমাণ মানুষ একসঙ্গে সীমান্তে এসে এর আগে সেই অর্থে কখনো দাঁড়াননি। তারা সীমান্ত পেরিয়ে অ্যামেরিকায় ঢুকতে চান।

পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মেক্সিকোর সঙ্গে সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অ্যামেরিকা। বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেক্সিকো এবং অ্যামেরিকার প্রশাসন যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সীমান্ত আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারই অ্যামেরিকায় পৌঁছেছেন সপার্ষদ ব্লিংকেন। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। এরপরেই একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ঘরে বাইরে তুমুল চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসন। একদিকে মেক্সিকো সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের দাবি সরকারকে এবিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে ইউক্রেনে যে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে, সেই বাজেট কমিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষিত করতে হবে। উল্লেখ্য, মার্কিন পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষে এখন রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে মার্কিন কংগ্রেসে প্রবল চাপের মুখে বাইডেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ট্রেন চলে। একাধিক সেতু আছে। যেখান দিয়ে সীমান্ত পারাপার হয়। বৈধ সেই রাস্তাগুলি নতুন করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামেরিকা। মেক্সিকো তাকে স্বাগত জানিয়ছে। তবে দুই দেশ ঠিক করেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বস্তুত, মধ্য অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা মেক্সিকোয় এসে ভিড় জমান। তারা মেক্সিকো দিয়ে অবৈধ রাস্তা ধরে অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে সম্প্রতি যে পরিমাণ মানুষকে সীমান্তে মিছিল করে আসতে দেখা গেছে তা অভূতপূর্ব। ওই দৃশ্য দেখেই প্রাথমিকভাবে অ্যামেরিকা সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)