অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ছবি
৭ জুলাই ২০১৭কোনো বিনোদন পার্কে গভীর রাত্রে গেলে দেখবেন চতুর্দিক নীরব-নিস্তব্ধ, যেন ভূতে পাওয়া অবস্থা...
অপরদিকে দিনের বেলা এখানে হাজার মানুষের ভিড়, নাগরদোলার চক্কর, ছোটদের কলরোল – সম্পূর্ণ অন্য অবস্থা৷
সেই অবস্থার ছবি তোলার জন্য স্তেফানো চেরিও বিভিন্ন বিনোদন পার্কে যান, যেমন চিনেচিয়েতা ওয়ার্ল্ড নামের অ্যামিউজমেন্ট পার্কটিতে৷ পার্কটি রোমের কাছে, চেরিও যেমন ইটালির মানুষ৷
স্তেফানো বলেন, ‘‘এই পার্কগুলোতে যা আমার বিশেষভাবে ভালো লাগে, তা হল ‘ভর্তি' আর ‘খালি'-র মধ্যে আশ্চর্য পার্থক্য৷ মানুষজন না থাকলে পার্কগুলোকে পুরোপুরি পরাবাস্তব বলে মনে হয়৷ এমনকি তার স্থাপত্য, যা আসলে সিনেমার সেটের মতো কাল্পনিক কিন্তু মানুষের তৈরি, মানুষ না থাকলে সেটাও একটা অর্থহীন, পরাবাস্তব কাঠামোর রূপ ধারণ করে৷''
সন্ধ্যা হবার মুখে স্তেফানো চেরিও ছবি তোলার বিষয় খুঁজতে শুরু করেন৷ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গেলে হাতে টর্চ নিয়ে বিনোদন পার্কে চলাফেরা করতে হয়৷ ছবি তোলার সময় চেরিও একটি বিশেষ ফ্ল্যাশ ব্যবহার করেন, যার ফলে ছবির পটভূমি সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে৷
স্তেফানো বলেন, ‘‘ছবিতে কোনো মানুষজন নেই বলে অনেকের একটু বিষাদপূর্ণ লাগে৷ অন্যরা আবার এটাকে বাস্তবধর্মী বলে মনে করেন৷ অথবা ছবিতে যে ‘আয়রনি' বা ব্যঙ্গ আছে, সেটা তারা বুঝতে পারেন৷ শিল্পকলা বোঝার পথ শুধু একটা নয়৷ ‘এর মানে শুধু এই হতে পারে' – এতে আমি বিশ্বাস করি না৷ শিল্পকলা চিন্তাকে বিভিন্ন খাতে বইয়ে দেবে৷''
বিনোদন পার্কের হৈহুল্লোড় সকলের পছন্দ না হলেও, স্তেফানো চেরিও-র ছবিগুলো দেখলে যেন মনে হয়, মানুষজন থাকলেই ভালো হতো৷৷
ইয়ানা ও্যরটেল/এসি