1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাষ্ট্র

অস্ত্ররপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের 'পৌষ মাস', চীনের 'সর্বনাশ'

১৪ মার্চ ২০২৩

চার বছর পর আবার প্রকাশিত হয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি)-র প্রতিবেদন। সেখানে দেখা গেছে অস্ত্র রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভীষণ উন্নতি, উল্টোদিকে চোখে পড়েছে চীনের অবনতি।

https://p.dw.com/p/4Odpt
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমান
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমানছবি: picture alliance/dpa/dpa-Zentralbild

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতিই পড়েছিল সংকটে। তার মাঝেই শুরু হয় ইউক্রেন যুদ্ধ। তার প্রভাবও পড়ে অর্থনীতিতে। জ্বালানি সংকট ওঠে চরমে, মুদ্রাস্ফীতির চাপে অনেক দেশেই জনজীবনে নামে বিপর্যয়। সেই বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত শ্রীলংকা।

অন্য কোনো দেশের অবস্থা এত খারাপ না হলেও ২০১৮ থেকে ২০২২ -এই সময়ে অস্ত্র ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই বাড়াতে পারেনি। ফলে ওই চার বছরে সারা বিশ্বে অস্ত্র আমদানি কমেছে। তবে এসব ক্ষেত্রে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই ব্যতিক্রম। সিপ্রির প্রতিবেদন বলছে, ওই সময়ে ইউরোপের দেশগুলোতে অস্ত্র আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সিপ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের দেশগুলোতে অস্ত্র আমদানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। এই হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানি অনেকটা বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আর ন্যাটোর পোয়াবারো

২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি হয়েছিল, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেই তুলনায় শতকরা পাঁচ ভাগ অস্ত্র কম বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বের চিত্র যা-ই হোক,  ইউরোপের দেশগুলো কিন্তু এমন সংকটের সময়ও অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে।  ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি এ অঞ্চলে বেড়েছে ৪৭ ভাগ, ন্যাটোর বেড়েছে আরো বেশি - ৬৫ ভাগ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য কৌশল

রাশিয়া হামলা শুরু করার আগ পর্যন্ত মূলত দেশে তৈরি অস্ত্রের ওপরই নির্ভরশীল ছিল ইউক্রেন। দেশীয় অস্ত্র ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের কিছু পুরোনো অস্ত্রও ছিল তাদের। তবে যুদ্ধ শুরুর পর বাধ্য হয়েই অস্ত্র সংগ্রহে তৎপর হতে হয় ইউক্রেনকে। তাই ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করা দেশের তালিকায় তারা এখন ১৪ নম্বরে।

ইউক্রেন অবশ্য নতুন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র পায়নি। অন্য দেশের অব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রই সাহায্য হিসেবে পেয়েছে তারা। এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বহুবার আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েও পাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

অথচ ইউক্রেন যুদ্ধ চলার সময় যুদ্ধ বিমানসহ অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনেছে কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার এবং জাপান। সব অস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনেছে তারা!

ফ্রান্সেরও বেড়েছে, কমেছে জার্মানি চীনের

আগের মতো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঁচ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন এবং জার্মানি। গত চার বছরে সার্বিকভাবে ১৪ শতাংশ রপ্তানি বাড়িয়ে সবচেয়ে উপরের জায়গাটি আরো পাকা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  তবে এ সময়ে ফ্রান্সের রপ্তানি বৃদ্ধির মাত্রা সত্যিই বিস্ময়কর। গত চার বছরে তাদের অস্ত্ররপ্তানি বেড়েছে শতকরা ৪৪ ভাগ ‌। অন্যদিকে চীনের অস্ত্ররপ্তানি শতকরা ২৩ ভাগ কমেছে। জার্মানিরও রপ্তানি এ সময় কমেছে। সিপ্রির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের চার বছরের তুলনায় জার্মানির রপ্তানি শতকরা ৩৫ ভাগ কমেছে।

ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/ এসিবি