1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সবচেয়ে অন্ধকার দিন’

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

‘‘ধরা পড়লে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে তখন হয়ত কারো কারো খেলা থেকেই চিরবিদায় নিতে হবে৷’’ মাদকনিরোধক বিশ্ব সংস্থা ডাব্লিউএডি-র প্রেসিডেন্ট জন ফাহে-র এই ঘোষণায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াবিদের মনে৷

https://p.dw.com/p/17aio
ARCHIV - Handout provided by the London 2012 Organising Committee of the Olympic and Paralympic Games (LOCOG) shows the Olympic medals designed by British artist David Watkins. The front of the medal depicts the imagery of the Greek Goddess Nike while the back features the logo of the London Olympic Games 2012. EPA/LOCOG HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES (zu dpa-Themenpaket zu den Olympischen Spielen in London 2012 vom 10.07.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ক্রিকেটার আর ফুটবলারদের জন্য অবশ্য এখনই দুশ্চিন্তার কিছু নেই৷ অস্ট্রেলিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন এক তদন্ত পরিচালনার পর জানতে পেরেছে সে দেশে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপকভাবে চলছে ড্রাগ নিয়ে পারফরম্যান্স ভালো করা৷ এমন অপকর্মে নাকি বিজ্ঞানী, কোচ, ডাক্তার, সাপোর্ট স্টাফ সবাই জড়িত! সবাই হাত ধরাধরি করে চালিয়ে আসছেন অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে ক্রীড়াবিদদের সফল করার চেষ্টা৷

তাতে সফলও যে হচ্ছেন তাতে আর সন্দেহ কী! অস্ট্রেলিয়ায় কবে থেকে এমনটি শুরু হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি৷ তবে যদি এক বছর আগে থেকে হয়ে থাকে তাহলে গত বছর লন্ডন অলিম্পিকে পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ৭টি সোনা, ১৫টি রূপা আর ১৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৫টি পদকই এসে যাবে সন্দেহের আওতায়৷ অস্ট্রেলিয়া অবশ্য আগে থেকেই অলিম্পিকে বেশ ভালো করছে৷ তবে সে দেশের ক্রীড়াবিদরা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন নিজের দেশে৷

এ পর্যন্ত দু'বার অলিম্পিকের আয়োজক হয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ প্রথম বার ১৯৫৬ সালে৷ সেবার মেলবোর্নে বসেছিল অলিম্পিক আসর৷ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে মোট ৩৫টি পদক পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাথলেটরা৷ ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে সেই সাফল্যও ম্লান হয়ে যায়৷ ইয়ান থর্প, ক্যাথি ফ্রিম্যানদের সাফল্যে সেবার ৫৮টি পদক পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷

এত উজ্জ্বল যাদের ক্রীড়াবিদদের অতীত সেই অস্ট্রেলিয়াই হঠাৎ পড়েছে ভীষণ লজ্জায়৷ ক্রীড়াঙ্গনে ড্রাগ নেয়ার প্রবণতা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে – দৈনিক সংবাদ পত্রগুলোর শিরোনামে তাই ফুটে উঠেছে শুধু হতাশা আর হতাশা৷ সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের শিরোনামটাই মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কাটার মতো৷ ‘‘ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে অন্ধকার দিন'' – অস্ট্রেলিয়ার জন্য এ মুহূর্তে এর চেয়ে উপযুক্ত শিরোনাম আর কী হতে পারে!

এসিবি/ডিজি(এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য