1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৪০ লাখ বাংলা ভাষাভাষী বাদ?

৩০ জুলাই ২০১৮

ভারতের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন অসম বা আসাম রাজ্যের নাগরিকদের যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ৪০ লাখের বেশি বাংলা ভাষাভাষীকে বাদ দেয়া হয়েছে৷ ফলে সেখানে অবস্থানরত অনেকের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/32HyO
Indien Assam Registrierung  National Register of Citizens
ছবি: Reuters/A. Hazarika

নাগরিকত্বের এই খসড়া সোমবার প্রকাশ করার পর আসামের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ সেখানকার এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বেশ কয়েক হাজার বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন৷ তারা আশঙ্কা করছেন, তাদের ‘ডিটেনশন সেন্টারে' পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে বা বিতাড়িত করা হতে পারে৷

প্রসঙ্গত, চায়ের জন্য বিখ্যাত অসম রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে অনেক দিন ধরেই সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বিরাজ করছে৷ সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিবাসীদের বিতাড়নের পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছে যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির শক্ত সমর্থন রয়েছে৷ এই রাজ্যে ১৯৮৩ সালে কয়েকজন মুসলমান অভিবাসীকে খুঁজে বের করে হত্যা করেছিল একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা৷

বিজেপি সরকার অবশ্য জানিয়েছে, সোমবার প্রকাশিত তালিকাটি কাউকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়নি৷ বরং যারা তালিকার বাইরে রয়েছেন, তারা আবারো নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ ভারতের আদমশুমারি কমিশনার শৈলেশ গৌহাটিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘এই খসড়ার উপর ভিত্তি করে কাউকে ‘ডিটেনশন সেন্টার' বা ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে' নেয়ার প্রশ্নই আসে না৷''

অসমে বিজেপি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে: সুস্মিতা দেব

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অনেক মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ সেসময় থেকে তাদের অধিকাংশই আসাম রাজ্যে, যেটির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে, বসবাস শুরু করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে৷

সেইলেশ জানিয়েছেন, অসম রাজ্য থেকে তিন কোটির বেশি মানুষ ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন৷ তাদের মধ্যে ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে৷ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে আসামের বাসিন্দাদের এটা প্রমাণ করা বাধ্যতামূলক ছিল যে, তারা কিংবা তাদের পরিবার ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে থেকেই রাজ্যটিতে বসবাস করছেন৷ যারা এটা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি৷

নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদেরউপর নতুন করে চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে মোদীর বিজেপি সরকারের সমর্থনে এই আদমশুমারির আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই প্রথম ভারতের কোন রাজ্যে এভাবে আদমশুমারি করা হয়েছে৷ তবে বিজেপি কোনো গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বিশেষ কোনো গোষ্ঠীকে তুষ্ট রাখার নীতি দলটি অনুসরণ করে না৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স, এএএফপি)

২০১৫ সালের এই ছবিঘরটি দেখে নিন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য