1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিলো সুপ্রিম কোর্ট

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিলো সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ছয় মাস পরে জেল থেকে ছাড়া পাবেন তিনি।

https://p.dw.com/p/4kZw8
জনসভায় ভাষণরত অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিলো সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: BIJU BORO/AFP/Getty Images

তবে জামিনের আদেশে শর্ত দেয়া হয়েছে, কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না, তিনি এই মামলা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না, তিনি ফাইলেও সই করতে পারবেন না।

ফলে কেজরিওয়ালকে আগে যে জামিনের শর্ত দেয়া হয়েছিল, সেটাই বহাল রাখা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে প্রচার করার জন্য জামিন দিয়েছিল। কেজরিওয়ালকে প্রথমে ইডি গ্রেপ্তার করে। সেখানেও তিনি জামিন পান। তখন জামিনের কিছু শর্ত দেয়া হয়েছিল। পরে সিবিআই-ও তাকে গ্রেপ্তার করে।

তবে জামিনের এই শর্ত নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য আছে। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছেন, তিনি আগের শর্ত এক্ষেত্রেও বহাল রাখতে চান।

কিন্তু বিচারপতি ভুয়ান বলেছেন,  ''কেজরিওয়ালকে সচিবালয়ে যেতে মানা করা এবং ফাইলে সই করা নিয়ে যে সব শর্ত দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমার সিরিয়াস রিজার্ভেশন আছে। তবে আমি এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলছি না।''

যেহেতু দুই বিচারপতি কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়া নিয়ে একমত হয়েছেন, তাই তিনি জামিন পাচ্ছেন। তবে শর্ত বহাল থাকছে।

গ্রেপ্তারি নিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত

ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পাওয়ার পর সিবিআই যেভাবে তড়িঘড়ি করে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে তা নিয়ে দুই বিচারপতি একমত হতে পারেননি।

বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছেন, ''সিবিআই পদ্ধতিগত দিক থেকে কোনো বেআইনি কাজ করেনি।''

কিন্তু বিচারপতি ভুয়ান বলেছেন, ''সিবিআই ২০২৩ সালের মার্চে কেজরিওয়ালকে জেরা করলো, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করলো না। যখন ইডি তাকে গ্রেপ্তার করলো এবং তার উপর স্থগিতাদেশ দেয়া হলো, তখন তারা কেজরিওয়ালকে তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তার করলো। ২২ মাস তারা কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিতে চায়নি। ইডি-র মামলায় জামিনের পর তারা সক্রিয় হয়ে উঠলো।''

তিনি বলেছেন, ''সিবিআই যে কেজরিওয়ালকে দেরিতে গ্রেপ্তার করেছে তা অন্যায্য। যে কারণ দেখিয়ে সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার ন্যায্যতা তারা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা এ নিয়ে জবাব এড়িয়ে গেছে।''

বিচারপতি ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ

বিচারপতি ভুয়ান সিবিআইয়ের প্রবল সমালোচনা করেছেন। তাদের কাজ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আবার সিবিআই প্রসঙ্গে 'খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি'র প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ''তাদের এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।''

তিনি জানিয়েছেন, ''এই ধারণার গুরুত্ব আছে। সিবিআইকে দেখাতে হবে, তারা খাঁচাবন্দি তোতা নয়। সিবিআইয়ের উচিত যাবতীয় সন্দেহের উপরে ওঠা।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি, লাইভ ল)