অভিবাসীদের নিয়ে নাখোশ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ নভেম্বর ২০২২এ নিয়ে গতকাল সংসদে তিনি বক্তব্য দেন। দীর্ঘ সময় ধরে বেশকিছু আশ্রয়প্রার্থীদের একটি শিবিরে আটকে রাখা ও আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করতে না পারার জন্য অনেকেই তার সমালোচনা করেন।
অনেকেই চরম দুঃখজনক বলে মনে করেন যে, ধারণক্ষমতার অনেক বেশি মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে। তারা চরম দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে। শত শত মানুষ যারা ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে আসে তাদেরকে ম্যানস্টনে নিয়ে রাখা হয়।
অভিবাসীদের প্রতি ব্র্যাভারম্যানের এমন কট্টর পন্থার কারণে তিনি তার কনজারভেটিভ পার্টির সহকর্মী আইনপ্রণেতাদের সমালোচনারও সম্মুখীন হোন।
সমালোচনার জবাবে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেন, সেখানে নেয়া সকল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, কোন কিছুই আর কাজ করছে না। আশ্রয় শিবিরে রাখা অভিবাসীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, "আসুন আমরা আর ভান না করি যে সেখানে যারা আছে তারা সবাই দুর্দশায় পতিত উদ্বাস্তু। পুরো দেশ জানে যে এটি সত্য নয়।"
শিবিরের করুণ অবস্থা
সেখানে বর্তমানে প্রায় তমানেমানুশ বসবাস করছে যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস ইউনিয়নের (আইএসইউ) প্রধান লুসি মোরটন এটা "বিপর্যয়মূলক জনাকীর্ণ” বলে অভিহিত করেন।
ম্যানস্টনের অস্থায়ী শিবিরে করার উদ্দেশ্য ছিল নতুন আগতদের সেখানে ২৪ ঘন্টা রেখে দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থানে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। তবে সেখানে তাদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ রাখা হচ্ছে জানিয়েছে অভিবাসন সংগঠনগুলো।
সম্প্রতি দেশটির চিফ ইন্সপেক্টর অফ বর্ডারস ডেভিড নিল ম্যানস্টন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। সেখানকার পরিস্থিতিকে "দুঃখজনক” হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, সেখানে ডিপথেরিয়া রোগীর কেস পাওয়া গেছে যা সত্যিই বিপজ্জনক।
কনজারভেটিভ এমপি রজার গেইল, যিনি সংসদে ম্যানস্টন এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন, পরিস্থিতিকে "মানবীয় পরিস্থিতির লঙ্ঘন" বলে বর্ণনা করেন।
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল রুম বুক না করে ম্যানস্টনে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছেন।
একেএ/কেএম