1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবৈধ বসতি নির্মান ইস্যুতে মার্কিন ইসরায়েল সম্পর্কে টান

২০ জুলাই ২০০৯

দখল করা জায়গায় অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল৷ এই নিয়ে গত এক দশকের মধ্যে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা উত্তেজনা৷

https://p.dw.com/p/Ism2
গত মে মাসে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: AP

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ইসরায়েলকে তার অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, জার্মানি সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ৷ কিন্তু সেসব আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল তার অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে গেছে৷ তেলআভিভে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই উদ্যোগ আরো ত্বরান্বিত হয়েছে৷ সম্প্রতি জেরুজালেমের দখল করা জায়গায় ২০টি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার৷ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পরই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেনকে তলব করে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ৷ তাঁকে জানানো হয় যে জেরুজালেমে যে নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বন্ধ করা উচিত৷

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই আহ্বান আসার পর সরাসরি তা নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু৷ তিনি বলে দিয়েছেন জেরুজালেমের ব্যাপারে কারো কোন নির্দেশ তিনি গ্রহণ করবেন না৷ তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়টি গ্রহণ করতে পারি না যে জেরুজালেমে ইহুদিদের থাকার এবং বাড়ি কেনার কোন অধিকার নেই৷ আমি শুধু ধারণা করতে পারি যদি কেউ বলেন যে নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস কিংবা রোমে ইহুদিদের থাকার কোন অধিকার নেই৷ ইসরায়েলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিলভান শালোমও এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জেরুজালেম ইসরায়েলের বর্তমান রাজধানী এবং অন্য শহরের মত এখানেও আমরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবো৷ ১৯৭৬ সালের পর ইসরায়েলের সব সরকার এই নীতি অবলম্বন করে আসছে৷ জেরুজালেমে বসতি নির্মান বন্ধের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়৷এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার পর কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে৷ তবে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে যে নতুন ভাঁটার টান সৃষ্টি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়