1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবৈধ নিয়োগ: শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে ঢুকতে পারবেন না

২৩ ডিসেম্বর ২০২২

এসএসসি নিয়ে আরো কড়া হলো হাইকোর্ট। অভিযুক্ত কেউ আর স্কুলে যেতে পারবেন না। কাউকে বদলিও করা হবে না।

https://p.dw.com/p/4LM3N
ছবি: Satyajit Shaw /DW

এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্যবেরিয়ে আসছে। কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একেবারে খালি খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষার্থীরা প্রচুর নম্বর পেয়েছে। চাকরিও। এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়ে দিয়েছেন, অবৈধভাবে নিয়োগকরা শিক্ষা কর্মীদের স্কুলে ঢুকতে দেয়া যাবে না। প্রধান শিক্ষকদের তা নিশ্চিত করতে হবে।

সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, অবৈধভাবে এক হাজার ৬৯৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি তখন বলেন, ''আপনি চিৎকার করে বলুন। সকলে যাতে শুনতে পায় কী হয়েছে।''

রাজ্য সরকারের অনুরোধ ছিল, ওই কর্মীদের চাকরি যেন এখনই বাতিল না করা হয় বা স্কুলে ঢোকা বন্ধ না করা হয়। তা হলে স্কুলের দরজা খোলার মানুষ থাকবে না। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, এরা ছাত্রদের ক্ষতি করেছে। আর একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেয়া হবে না।

বিচারপতির নির্দেশ, অবৈধভাবে নিযুক্ত শিক্ষকদের নাম, ঠিকানা এবং কোন স্কুলে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তা বৃহস্পতিবার বেলা তিনটের মধ্যে জমা দিতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফে আরো সময় দেয়ার অনুরোধ করা হলেও বিচারপতি জানিয়ে দেন, ''দরকার হলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তথ্য আনান। আর সময় দেয়া সম্ভব নয়।''

বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ''অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের এতদিন যা বেতন দেয়া হয়েছে তা তাদের ফেরত দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে, কাকে কত টাকা দেয়া হয়েছে।''

বদলি নয়

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন কোনো স্কুল থেকে কাউকে বদলি করা হবে না। আগে শিক্ষকদের ভালো করে পড়াতে হবে। তারপর বদলির কথা আসবে। তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকারকে স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাত জানাতে হবে।

বিচারপতি গঙ্গেপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিক্ষকদের যদি বেতন ও ভাতা পাওয়ার অধিকার থাকে, তাহলে ছাত্রদেরও শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।

পুরুলিয়ার এক শিক্ষক বদলি চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারই আবেদনের জবাবে বিচারপতি ওই মন্তব্য করেন।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, আনন্দবাজার, নিউজ১৮)