1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অপছন্দের কারণে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে লাভ নেই'

৩ জানুয়ারি ২০২৪

বেড়ে চলা সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে হিতে বিপরীত হবে বলে মনে করেন জার্মান সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী৷ রাজনৈতিকভাবে এই দলের মোকাবিলার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4ap50
দিন দিন আরো কট্টর হয়ে উঠছে জার্মানির উগ্র ডানপন্থি দল এএফডি। গোয়েন্দারাও দলটির কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ নজর রাখছেন।
দিন দিন আরো কট্টর হয়ে উঠছে জার্মানির উগ্র ডানপন্থি দল এএফডি। গোয়েন্দারাও দলটির কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ নজর রাখছেন।ছবি: Julian Stratenschulte/dpa/picture alliance

জার্মানির সরকার ও বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি জনসমর্থন সার্বিকভাবে কমে চলেছে৷ এর একমাত্র ব্যতিক্রম চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল৷ বাকি দলগুলি এএফডি-কে একঘরে করে রাখায় এখনো ফেডারেল বা রাজ্য স্তরে চরম দক্ষিণপন্থিরা ক্ষমতায় আসতে পারে নি বটে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এএফডি দলের মধ্যে চরম দক্ষিণপন্থি ভাবধারা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে জার্মানির অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থা পূবের কয়েকটি রাজ্য ইউনিটের উপর বিশেষ নজর রাখছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে এই দলকে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি উঠছে৷

জার্মান সরকারে পূবের রাজ্যগুলির ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী কার্স্টেন শ্নাইডার এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, এএফডি-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে হিতে বিপরীত হবে৷ বেড়ে চলা জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অপছন্দের কারণে কোনো দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে সেই দলের প্রতি সংহতি বরং আরো জোরালো হবে বলে শ্নাইডার মনে করেন৷ সে ক্ষেত্রে এএফডি-র প্রতি সহানুভূতি নেই, এমন মানুষও সেই মনোভাব পোষণ করবেন৷ উল্লেখ্য, গত এক বছরে এএফডি দলের সদস্যের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে৷ স্যুডডয়চে সাইটুং সংবাদপত্রকে শ্নাইডার আরো বলেন, জার্মানিতে কোনোরাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা কার্যকর করাও অত্যন্ত কঠিন৷ সে ক্ষেত্রে আইনি সাফল্যের সম্ভাবনাও অত্যন্ত কম৷

জার্মান সরকারের প্রতিমন্ত্রী বরং রাজনৈতিক মঞ্চে এএফডি-র কর্মসূচির মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ভোটারদের কাছে একাধিক ক্ষেত্রে এই দলের প্রকৃত অবস্থানের পরিণাম স্পষ্ট করে তুলতে হবে৷ তাদের জানাতে হবে, যে এএফডি দল ন্যূনতম মজুরির বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিয়েছে৷ উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কর তুলে দেবার দাবি করে সম্পদের ন্যায্য বণ্টনেরও বিরোধিতা করছে এই দল৷ শ্নাইডারের মতে, ১৯৫০-এর দশকের সামাজিক অবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় এএফডি, যা বিশেষ করে পূবের রাজ্যগুলির নারীদের জন্য মোটেই সুখকর হতে পারে না৷

বর্তমানে জার্মানির সব জনমত সমীক্ষায় এএফডি দল ২০ শতাংশেরও বেশি সমর্থন পেয়ে একমাত্র বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের পেছনে রয়েছে৷ অর্থাৎ, সরকারের তিন শরিক দলের তুলনায় এএফডি বেশি সমর্থন পাচ্ছে৷ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পূবের ব্রান্ডেনবুর্গ ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে নির্বাচনে এএফডি এমনকি সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সাফল্য পেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে এই প্রথম সরকার গড়া ও মূখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণের সাফল্যের মুখ দেখতে পারে চরম দক্ষিণপন্থি এই দল৷

জার্মান সরকারের প্রতিমন্ত্রী শ্নাইডার এএফডি দলের উত্থানের মোকাবিলা করতে সমাজে ‘নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ' অংশের প্রতি আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, গণতন্ত্র রক্ষার তাগিদে তাদের জেগে উঠতে হবে৷ সবাইকেই সাহায্য করতে হবে৷ এএফডি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কোনো লাভ হবে না৷

জার্মানিতে চরম ডানপন্থা ও তিনটি প্রশ্ন

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)