অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন আরো ১৬ জন৷
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ৷ ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠান করেন৷ ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ৯০ লাখের বেশি৷ এর মধ্যে ৯৭ শতাংশের বেশি নারী৷ ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ২০০৬ সালে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷
সালেহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অর্থনীতিবিদ৷ ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতোকত্তর৷ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে ক্যানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন৷
ড. আসিফ নজরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক৷ এছাড়া তিনি একজন কথাসাহিত্যিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময়জুড়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন তিনি৷
আদিলুর রহমান খান
তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পেয়েছেন৷
এ এফ হাসান আরিফ
তিনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী, বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷ এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারও ছিলেন তিনি৷
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০১২ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০৯ সালে ‘পরিবেশের নোবেল’খ্যাত গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল পদক পান তিনি৷ ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকী তাকে হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট খেতাবে দেয়৷ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৯৬৮ সালে, ঢাকায়।
শারমিন মুরশিদ
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে বেশ পরিচিত৷ এছাড়া ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে অনুশীলনকারী মনোচিকিৎসক৷ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে মনোচিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ও অধ্যাপকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷
এম. সাখাওয়াত হোসেন
তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা৷ নির্বাচন কমিশনার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন৷ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি এসআইপিজির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (এনএসইউ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
ফরিদা আখতার
একজন উন্নয়নকর্মী হিসাবে কৃষির উন্নয়নে কাজ করেছেন৷ দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এর নির্বাহী পরিচালক ছিলেন৷
নূর জাহান বেগম
২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত হন৷ তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ দায়িত্বটি পেয়েছিলেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে। এরপর তিনি গ্রামীণ পরিবারের একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নাহিদ ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক৷ তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনেই পদত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ডানে)৷ শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি৷
বাকি তিন উপদেষ্টা
এছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন: নৌকমান্ডো বীর প্রতীক ফারুক–ই–আজম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর আ.ফ.ম খালিদ হাসান এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা৷