অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য এখনও সমর্থন জোটাতে পারেনি তৃণমূল
২০ নভেম্বর ২০১২সংসদে কংগ্রেস-জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে কমপক্ষে ৫০ জন সাংসদের সমর্থন দরকার৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস তা জোগাড় করতে পারেনি৷ তাই এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো তৃণমূল একঘরে৷ আর সেটা কাটাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ বিজেপি এবং সিপিএম-এর মতো দলের কাছে হাত পাততেও ছাড়েন নি৷ এজন্য তিনি নাকি তাঁর জাতশত্রু সিপিএম সদরদপ্তর কলকাতার আলিমুদ্দিন অফিসে যেতেও প্রস্তুত৷ মমতার ভাষায়, রাজনীতিতে কোনো দলই অচ্ছুৎ নয়৷
সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাত সরাসরি বলেছেন, তারা এফডিআই ইস্যুর বিরোধিতা করবে৷ তবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করবে না৷ কারণ, অনাস্থা প্রস্তাব আনলে সরকার টিকে যাবে, যেহেতু বিরোধীদের পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই৷ অনাস্থা প্রস্তাব পরিণত হবে আস্থা ভোটে৷ নৈতিক জয় হবে সরকারেরই৷
সংসদীয়মন্ত্রী কমলনাথ কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনবে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল তা সমর্থন করবে বলে জানায় নি৷
আসলে কোনো দলই অনাস্থা প্রস্তাবে রাজি নয়৷ তারা চাইছে সংসদের ১৮৪ ধারা অনুযায়ী খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে আলোচনা এবং তারপর ভোটাভুটি৷ তাতে সরকারের বিপক্ষে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেসের জোট সরকারের বড় শরিক ডিএমকে এবং বিরোধী এআইএডিএমকে৷ এ নিয়ে বিজেপি-র বৈঠক বসে সকালে৷ আর সন্ধ্যার দিকে বসছে বিজেপি-জোট এনডিএ-র বৈঠক৷ তাতে এনডিএ অনাস্থা প্রস্তাবে জোটের অবস্থান জানাবে৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ফেলে দেবার মতো ক্ষমতা যে মমতা রাখেন, সেটাই তিনি দেখাতে চাইছেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য কটাক্ষ করে বলেন, অন্ধ কংগ্রেস বিরোধিতার নামে নৈতিক জ্ঞানহীন রাজনীতি করে দ্বিচারিতা করছেন মমতা৷ তাই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার পেছনে মমতার রাজনৈতিক চালটা এখনও অনেকের কাছেই বোধগম্য হচ্ছে না৷