1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতীতের গাড়িকে ভবিষ্যতের রূপ দেয়া

৪ নভেম্বর ২০২১

কল্পবিজ্ঞানকে বাস্তব করে তোলা, ভবিষ্যতের প্রযুক্তি আজই কাজে লাগানোর মতো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করছেন কিছু মানুষ৷ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জার্মানির এক ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণা হিসেবে এমন পথ বেছে নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/42YOt
DW Euromaxx | Zurück in die Zukunft
ছবি: DW

আশির দশকের ‘কাল্ট' গাড়ি হিসেবে পরিচিত ডিলোরিয়েনের চেহারা সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল৷

আর্মিন পোল ভবিষ্যতের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গাড়ির ডিজাইনের ক্ষেত্রে মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন৷ সেই সৃষ্টিকর্মের নাম রেখেছেন ‘ইলোরিয়েন'৷ সম্পূর্ণ ব্যাটারিচালিত এই গাড়িতে ‘জেস্চার কনট্রোল' ও থ্রিডি হলোগ্রাফির মতো প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে৷ আর্মিন বলেন, ‘‘ভিত্তি হিসেবে ডিলোরিয়েন অবশ্যই ভবিষ্যতের দিশা দেখায়, অনেকটা স্বপ্নের মতো৷ আমরা এখন গাড়ি করে ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছি৷ আমি কল্পবিজ্ঞানেরও অনুরাগী, তাই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্পর্কে উৎসাহ থাকাও স্বাভাবিক৷ উদ্ভট আইডিয়া মানেই আমি সঙ্গে আছি৷''

‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার' সিরিজের তিনটি মার্কিন চলচ্চিত্র ডিলোরিয়েন ব্র্যান্ডটিকে আরো বিখ্যাত করে তুলেছে৷ সেই গাড়ি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টাইম মেশিনে পরিণত হতে পারে৷ ৪০ বছর আগে সেটা ছিল অভাবনীয় কল্পনার পরিচয়৷

আর্মিন পোল মোবিলিটির সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘকাল চর্চা করছেন৷ তার মতে, ‘‘মানুষ আগে কখনো কল্পনাই করতে পারে নি, এমন কিছু বাস্তবায়ন করতে পারলে আমার খুব আনন্দ হয়৷ তখন ভাবি, কখনো কেউ করেনি মানে এই নয় যে তা আদৌ সম্ভব নয়৷ অনেক বিষয় নিয়ে আমার আগ্রহ রয়েছে৷ জ্ঞানের একাধিক শাখা ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারলে সে সব অংশ মিলে নতুন কিছু সৃষ্টি হয়৷ অর্থাৎ বৈপরিত্যের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে হয়৷''

অতীতের গাড়ি ভবিষ্যতের রূপে

আর্মিন পোল তাঁর নিজের সংগ্রহ থেকেই প্রেরণা পান৷ তার মধ্যে ইলেকট্রিক যান ছাড়াও রয়েছে ১৯৬৯ সালে তৈরি ‘ডজ চার্জার' নামের মার্কিন ভিন্টেজ গাড়ি৷ তিনি বলেন, ‘‘ইলোরিয়েনের প্রযুক্তি বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে হাতছানি দিচ্ছে৷ এই সাংস্কৃতিক সম্পদ সমসাময়িক ইতিহাস তুলে ধরছে৷ প্রযুক্তি সম্পর্কে আমার মৌলিক আগ্রহ রয়েছে৷ প্রযুক্তি ও মুভমেন্ট কীভাবে গতিশীলতায় রূপান্তরিত করা যায়, আমার কাছে তা এক অসাধারণ মেলবন্ধন৷ সেইসঙ্গে নান্দনিকতাও বজায় রাখতে হবে৷ সেগুলি খুব সুন্দর হতে হবে এবং আমার অন্তরের ভাব প্রকাশ করবে৷ মনে রাখতে হবে, আমি কিন্তু একইসঙ্গে ইটালিয়ান স্পোর্টস কার৷ লোকে যে বলে পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের পরিচয়, সেটা অবশ্যই ঠিক৷ তবে আমার কাছে অটোমোবাইলও সেই পরিচয়ের অংশ৷''

১৯৯৫ সালেই তিনি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবি সাজানোর কাজ শুরু করেন৷ ‘ম্যাকেভিশন' নামের নিজের কোম্পানিকে তিনি থ্রিডি ভিশুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা করে তুলেছেন৷ হলিউডের বিশাল মাপের প্রোডাকশন ‘স্টার ট্রেক' সেই পরিষেবার সুযোগ নিয়েছে৷

‘গেম অফ থ্রোনস'-এও তার হাতের ছাপ রয়েছে৷ আর্মিন পোল বলেন, ‘‘কেউ আমারই মতো শিল্পী হলে এমনটা করার তাগিদ জন্মায়৷ অসাধারণ ছবির মাধ্যমে কল্পনানির্ভর কাহিনি শোনাতে সবসময় আনন্দ হয়৷ আমি চিরকাল শৈল্পিক বিষয়, নান্দনিকতা, ভিশুয়াল আর্টস ও প্রযুক্তি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছি৷''

‘ইলোরিয়ান' প্রকল্পে তিনি একাধিক প্যাশন বা আবেগের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন৷ ২০১৮ সালে তিনি ‘ম্যাকেভিশন' কোম্পানি বিক্রি করেন৷ তখন থেকে তিনি স্টার্টআপ কোম্পানিগুলিকে উদ্ভাবনের কাজে সাহায্য করছেন৷

তারই তত্ত্বাবধানে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি বিশেষজ্ঞরা একটি স্টার্টআপ শুরু করেছেন, যেখানে ইলেকট্রিক মোটর নির্মাতা এবং জেস্চার কন্ট্রোল ডেভেলপাররা মিলে অভাবনীয় গাড়ি তৈরি করেন৷ আর্মিন বলেন, ‘‘নান্দনিকতা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন চিরকাল আমার পছন্দের বিষয় ছিল৷ এবার ডিজাইন আইকন হিসেবে পরিচিত একটি গাড়িতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং এখনো অপ্রকাশিত প্রযুক্তির সমন্বয় সত্যি একেবারে নিখুঁত৷''

অর্থের বিনিময়ে ইলোরিয়ান কেনা এখনো সম্ভব নয়৷ আর্মিন পোলের মতে, এই গাড়ির মাধ্যমে মোবিলিটির ভবিষ্যতের প্রেরণা সৃষ্টি করা তাঁর জন্য বেশি জরুরি৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য