1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৯-ইউরোর টিকেটের লাভ-ক্ষতি

৩১ আগস্ট ২০২২

চড়া দ্রব্যমূল্য ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সময়ে সবাইকে একটু স্বস্তি দিতে ট্রেনে, বাসে মাত্র ৯-ইউরোর টিকেটে সারা জার্মানি ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিল সরকার৷ জুন থেকে আগস্ট- এই তিন মাস শেষ হতেই শুরু হয়েছে সস্তা টিকের লাভালাভ বিচার৷

https://p.dw.com/p/4GGrU
Berlin | 9-Euro-Monatstickets in Bussen und Bahnen
ছবি: Wolfgang Kumm/dpa/picture alliance

মাত্র ৯ ইউরোতে টিকেট দেয়ায় জার্মানির ১৬টি রাজ্যে ট্রেন, বাস আর ট্রামের টিকেট বিক্রির আয় অনেক কমে যাওয়ার কথা৷ তবে তা হতে দেয়নি জার্মান সরকার৷ ১৬টি রাজ্যকে আগাম মোট ২.৫ বিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছিল৷ ফলে প্রতিটি রাজ্যে ধুম পড়েছিল ৯-ইউরোর টিকেট বিক্রির৷

তা বিক্রি কেমন হয়েছে? জার্মানির ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন ভিডিভি-র দেয়া তথ্য বলছে, তিন মাসে বিক্রি হয়েছে মোট পাঁচ কোটি ২০ লাখ টিকেট কিনেছেন৷ অর্থাৎ জার্মানির মোট জনসংখ্যার ষাট ভাগেরও বেশি মানুষ কিনেছেন এই টিকেট৷

এই পাঁচ কোটি ২০ লাখের বাইরে এমন ১০ লাখ মানুষও ছিলেন, যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়েছেন এই টিকেটের সুবিধা৷ এই ১০ লাখ মানুষ সারা বছরের জন্য গণপরিবহণের মাসিক টিকিট কিনে রেখেছিলেন৷ তাই তাদের আর নতুন করে ৯ ইউরোর টিকেট কিনতে হয়নি৷ প্রায় ৮০ ইউরোর মাসিক টিকেটটার দামই এই মাসের জন্য হয়ে গিয়েছিল ৯ ইউরো৷

তিন মাস শেষ হওয়ার পর সবার শুধু একটা বিষয়েই কৌতুহল-  ৯ ইউরোর টিকেটে লাভ বেশি হয়েছে, নাকি ক্ষতি? বার্লিনভিত্তিক ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম সিভিটি ম্যানেজমেন্ট কনসাল্ট্যান্ট-এর সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট জোনাথন লাসার মনে করেন, লাভ-ক্ষতি নির্ভর করে আসলে কে কী পাওয়ার জন্য এ টিকেট কিনেছিলেন, তার ওপর৷ তাই ‘‘লাভ হয়েছে, নাকি ক্ষতি?''- এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘‘যদি (৯-ইউরোর টিকেটের) অফারকে নাগরিকদের ওপর থেকে আর্থিক চাপ কিছুটা কমানোর উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করেন, তাহলে আমি বলবো- হ্যাঁ, অনেকের লাভ হয়েছে৷ যদি এটাকে (গণপরিবহণের) বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখেন, সেক্ষেত্রেও বলবো- হ্যাঁ, অবশ্যই লাভ হয়েছে৷ কিন্তু যদি এটাকে টেকসই কোনো ব্যবস্থা হিসেবে দেখতে চান, তাহলে বলবো, না৷''

জার্মানির জাতীয় রেলওয়ের আঞ্চলিক সংস্থা ডিবি রেজিওর প্রধান রাল্ফ ডামডে মনে করেন, ‘‘৯-ইউরোর টিকেট জার্মানির আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সব সমস্যার ওপরে আলো ফেলেছে৷'' এই তিনমাস যারা ৯-ইউরোর টিকেটে ট্রেন, বাস, ট্রামে চড়েছেন, তাদের অনেকেই তার সঙ্গে একমত হবেন৷ কারণ, এই তিনমাস, স্বল্প পাল্লার সব ট্রেন এবং বাস ও ট্রামে ভিড় ছিল প্রচুর৷ শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্র অকেজো বলে মাঝে মাঝেই ট্রেনে গরমে সেদ্ধ হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়৷ অনেকে আবার জানিয়েছেন ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকার কথা৷

এমন কষ্টে পড়ে কেউ কেউ বলছেন, এভাবে ৯ ইউরোতে টিকেট দিয়ে রাজ্যগুলোকে ক্ষতি পোষাতে মোটা অঙ্কের টাকা না দিয়ে সেই টাকায় রেলওয়ের অবকাঠামোর উন্নয়ন করলেই বেশি ভালো হতো৷ আবার কেউ কেউ বলছেন উদ্যোগটা যেহেতু অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, তাই এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত৷

ক্রিস্টি প্ল্যাডসন/ এসিবি