1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিআলজেরিয়া

৯৫% ভোট পেয়ে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দুলমাদজিদ তোবুন

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট আব্দুলমাদজিদ তোবুনকে আলজেরিয়ার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷ ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4kQia
আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে তোবুন ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেনছবি: Fateh Guidoum/AP/picture alliance

কিন্তু নির্বাচনের একজন প্রার্থী ভোট গণনায় অনিয়ম ও কম ভোটার উপস্থিতির অভিযোগ করেছেন৷

আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে তোবুন ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ আবদেলালি হাসানি শেরিফ তিন শতাংশ ও ইউসেফ আউচিচ দুই শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ দেশটির মোট ভোটারের ৪৮ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে ভোট দিয়েছে৷  

সামরিক বাহিনী দ্বারা সমর্থিত আব্দুলমাদজিদ তোবুন, মধ্যপন্থি ইসলামপন্থি হাসানি শেরিফ ও মধ্যপন্থি ধর্মনিরপেক্ষ আউচিচের কাছ থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়তে হয়নি৷

হাসানি শেরিফ তার নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ভুয়া ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ফলাফল পরিবর্তন করার জন্য তাদের উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেন৷ হাসানি শেরিফের মুখপাত্র আহমেদ সাদোক বলেন, ‘‘এটি একটি প্রহসন''৷

তবে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শারফি ফলাফল ঘোষণার সময় সকল প্রার্থীর মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার কথা জানান৷

নাম প্রকাশেও অনিচ্ছুক আলজেরিয়ার ওউলদ ফয়েত জেলার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘যতদিন তোবুন মজুরি, পেনশন বৃদ্ধি ও ভর্তুকি বজায় রাখবে ততদিন সে আমার চোখে সেরা হবে''৷

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউরোপে আলজেরিয়া থেকে গ্যাসের রপ্তানি বেড়েছে৷ যা সরাসরি আলজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করেছে৷ সামাজিক সহায়তার জন্য বেশিরভাগ অর্থ ব্যবহার করলেও তোবুনের সরকার এর আগে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন৷ তবে, মহামারী চলাকালীন বেকারত্ব প্রায় ১৪ শতাংশে নেমে এসেছিল, তা আর উপরে ওঠেনি৷ গত বছর দেশটিতে বেকারত্ব ১২ শতাংশের কাছাকাছি ছিল৷

সাধারণ নাগরিকদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো শনিবারের নির্বাচনে কম ভোটদানের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরিদ ফেরারি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে ৪৮ শতাংশ বনাম ৪০ শতাংশ ভোটদান স্পষ্টভাবে দেখায় যে,  শাসক ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব এখনো অনেক রয়ে গেছে৷''

গ্যাস সরবরাহকারী হিসাবে ইউরোপে আলজেরিয়ার মূল ভূমিকা থাকলেও, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী মরক্কো পশ্চিম সাহারার উপর তার কর্তৃত্ব স্থাপন করতে স্প্যানিশ ও  ফরাসি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে৷ 

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে বৃহত্তর স্থিতিশীলতা আনার জন্য আলজেরিয়ার নেয়া উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছিল৷ গত বছর একটি অভ্যুত্থানের পরে নাইজারে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা অগ্রগতি পায়নি৷

তবে আলজেরিয়া এই অঞ্চলে এখনো একটি প্রধান সামরিক শক্তি হিসাবে রয়ে গেছে এবং পশ্চিমা শক্তি ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখায় তাদের ঐতিহ্যবাহী অবস্থান থেকে সরে আসার সম্ভাবনাও এ মুহূর্তে নেই৷

এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য