1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

৮০টির বেশি পশ্চিমা মিডিয়া নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া

২৬ জুন ২০২৪

রাশিয়ার মানুষ এই গণমাধ্যমগুলি আর দেখতে পারবেন না। স্য়াটেলাইট জ্য়াম করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

https://p.dw.com/p/4hVmW
গণমাধ্য়মের উপর পুটিনের নিশেধাজ্ঞা
৮০টির বেশি সংবাদমাধ্য়ম বন্ধ করলেন পুটিনছবি: Alexander Miridonov/Kommersant/Sipa USA/picture alliance

২৫টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশের ৮১টি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এর অর্থ, রাশিয়ার মানুষ আর সেই গণমাধ্য়মগুলি দেখতে পারবেন না। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই গণমাধ্য়মগুলি রাশিয়া-বিরোধী খবর দেখাচ্ছে। ভুল তথ্য দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা অসত্য় তথ্য দিচ্ছে। বস্তুত, রাশিয়া ইউক্রেনের অভিযানকে যুদ্ধ বলছে না। বিশেষ সেনা অভিযান বলা হচ্ছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ গণমাধ্য়মেই একে যুদ্ধ বলছে।

এর আগেও বেশ কিছু স্বাধীন গমাধ্য়মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাশিয়া। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গণমাধ্য়ম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিনের সিদ্ধান্তের পিছনে মে মাসের একটি ঘটনা আছে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার চারটি গণমাধ্য়মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা করছে ওই গণমাধ্য়মগুলি। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় আছে। যারা সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা করে। রাশিয়া ইইউ-র এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল।

ইইউ-র প্রতিক্রিয়া

যে গণমাধ্য়মগুলি বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্য়ে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি, জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্য়ারিস, অস্ট্রিয়া, ইটালি এবং ইটালির জাতীয় সংবাদসংস্থা আছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বিখ্য়াত সংবাদমাধ্যম পলিটিকো-র উপরেও।

ইইউ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে 'ননসেন্স' বলে অভিহিত করেছেন। তার বক্তব্য, যে গণমাধ্য়মগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা কেউ প্রপোগান্ডা মেশিন নয়।

মস্কোর বক্তব্য়

মস্কো জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ইইউ যে গণমাধ্য়মগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তুলে নিতে হবে। রাশিয়া বলেছে, 'আমরা বার বার সতর্ক করেছিলাম। ইইউ-তে যে সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলি রাশিয়ার পক্ষে কথা বলছে, তাদের সাংবাদিকদের সমস্যায় ফেলা যাবে না। সংবাদমাধ্য়মগুলির কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু ইইউ তখন সে কথা শোনেনি।'

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর বহু পশ্চিমা গণমাধ্য়ম তাদের কর্মীদের রাশিয়া থেকে বাইরে নিয়ে যায়। কারণ সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একাধিক আইন পাশ করে রাশিয়ার পার্লামেন্ট। ডিডাব্লিউকে-ও সে সময় ব্যান করেছিল রাশিয়া।

মঙ্গলবারের নিষেধাজ্ঞা জারির একদিন আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বস্তুত, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে রাশিয়ার নম্বর ১৬২।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)