৭০ বছরেও মঞ্চ কাঁপিয়ে চলেছেন ক্লিফ রিচার্ড
১৪ অক্টোবর ২০১০আজ আর কাজ নয়৷ আজ তাঁর ছুটি৷ খুব ঘটা করে না হলেও, নিজ পরিবার এবং কিছু বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে নিজের জন্মদিনটি পালন করতে চান রক সংগীতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র৷ ব্রিটেনের আইটিভি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি নিজেই জানালেন, ‘‘না, এবার কোনো রকম হৈচৈ নয়, ‘ফ্যামিলি'র সঙ্গে শান্তিতেই পালন করতে চাই দিনটি৷ খেতে চাই ‘ইন্ডিয়ান কারি'৷ হবে না ? ব্রিটেনের এই ‘এলভিস প্রেসলি'র জন্ম যে ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরে, ১৯৪০ সালে৷ অথচ, ক্লিফ রিচার্ড বললে কিন্তু তখন তাঁকে কেউ চিনতো না৷ সে সময় তাঁর নাম ছিল ‘হ্যারি রজার ওয়েব'৷
সে যাই হোক, এই ৭০তম জন্মদিন পালনের জন্যই আজ রিচার্ডের এই স্বেচ্ছা নির্বাসন – তবে মাত্র একদিনের জন্য৷ শুক্রবার, অর্থাৎ আবার আগামীকাল থেকে সেই রয়াল অ্যালবার্ট হলেই পাওয়া যাবে ক্লিফ রিচার্ডকে৷ সত্যি, ধন্য অধ্যবসায়৷ কম তো নয় ! দীর্ঘ ৫২ বছরের সংগীত জীবনে ২৫০ মিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড বিক্রি করেছেন স্যার রিচার্ড৷ আর এরপরেও কিন্তু তিনি থেমে নেই৷ নিয়মিত সংগীত চর্চা করছেন, অংশ নিচ্ছেন একটার পর একটা শো'য়ে৷
তাই এই ৭০ বছর বয়সেও তাঁকে সেই ‘পিটার প্যান' নামে ডাকা যায়, সহজেই৷ তারুণ্যভরা রূপ আর সপ্রতিভ উপস্থাপনার জন্য এই নামেই যে একদিন বিখ্যাত হয়েছিলেন ক্লিফ রিচার্ড৷ ব্রিটেন তো বটেই, একসময় অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যানাডা এবং ইউরোপেও ছিল তাঁর অগুন্তি গুণমুগ্ধ ‘ফ্যান'৷ শুধু তাই নয়, ‘মুভ ইট', ‘লিভিং ডল', ‘দ্য ইয়াং ওয়ান্স', ‘সামার হলিডে', ‘কনগ্রাচুলেশন্স', ‘ডেভিল ওম্যান', ‘উই ডোন্ট টক এনিমোর' অথবা ‘সেভিয়ার্স ডে'র মতো হিটগুলি ১৯৯৫ সালে তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘নাইট' উপাধি৷ শুরু হয়েছিল ‘রক এন রোলের' বাঁধ ভাঙা জোয়ার৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক