২০১৫ সালের পর কি হবে?
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ওষুধ শিল্প থেকে৷ এছাড়া ওষুধের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯৭ ভাগের যোগান দেয় এই শিল্প৷ তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আশঙ্কাও৷
নিজস্ব কোনো ওষুধ নেই
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো ওষুধ নেই৷ অর্থাৎ বাংলাদেশ উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করেছে, বাংলাদেশের পেটেন্ট রাইটস করা আছে – এমন একটি ওষুধও নেই৷’’
ডাব্লিউটিও-র সুবিধা
এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডাব্লিউটিও-র লোগো৷ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় ডাব্লিউটিও-র দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকে ওষুধের ‘পেটেন্ট’ এনে ওষুধ উৎপাদন করছে৷ বেশিরভাগ কাঁচামালও আসছে বাইরে থেকে৷
সুবিধার মেয়াদ
ডাব্লিউটিও-র দেয়া সুবিধার মেয়াদ ২০১৬ সালের প্রথম দিন পর্যন্ত৷ এর পরের দিন থেকে পেটেন্ট আনতে বাংলাদেশকে রয়্যালটি দিতে হবে৷ এতে ওষুধ উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে৷ ফলে বাড়বে ওষুধের দাম৷
নাগালের বাইরে?
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০১৬ সালে ওষুধের মূল্য এমন অবস্থায় যেতে পারে যে, সব মানুষের পক্ষে হয়ত সব ওষুধ কেনা সম্ভব হবে না৷
কাঁচামাল আমদানি
বর্তমানে ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের একটা বড় অংশ আসছে বাইরে থেকে৷ ডাব্লিউটিও-র সুবিধা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এমনিতেই পেটেন্ট কিনতে টাকা লাগবে৷ তার ওপর যদি কাঁচামাল আমদানিতে এখনকার মতো অর্থ খরচ করতে হয় তাহলেতো বিষয়টা আশঙ্কারই, নাকি?
ওষুধ শিল্প পার্ক
ডাব্লিউটিও-র সুবিধা থাকবে কি থাকবে না, সেটার ওপর নিয়ন্ত্রণ হয়ত বাংলাদেশের নেই, কিন্তু কাঁচামাল উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জনের উপায় ছিল৷ সে লক্ষ্যে ছয় বছর আগে ওষুধ শিল্প পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল৷ কিন্তু এখনো মূল কাজ শুরুই করা যায়নি৷ অথচ ২০১৫ শেষ হতে আর যে মাত্র দেড় বছর বাকি!