1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

১০ বছর পর ইইউ-ইসরায়েল উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

৪ অক্টোবর ২০২২

এক দশক পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলো ইসরায়েল এবং ইইউ। সোমবার এই বৈঠক হলো।

https://p.dw.com/p/4HhnN
সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ ও ইসরায়েলের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ ও ইসরায়েলের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ছবি: Kenzo Tribouillard/AFP/Getty Images

ইইউ-র কূটনীতিক জোসেপ বরেল বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ 'টু স্টেট' সমাধান চাইছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক।

বৈঠকের পর ইইউ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ব্রাসেলসের আলোচনায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ এসেছিল। ২০১২-র পর এই প্রথম অ্যাসোসিয়েশন কাউন্সিলের বৈঠক হলো।

কী কথা হয়েছে?

জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, ''নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলি দুই পক্ষেরই উদ্বেগের কারণ।''

এই বিষয়ের মধ্যে অন্যতম ছিল ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনা।

জাতিসংঘে লাপিদ যে কথা বলেছেন বরেল তা সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘে লাপিদ বলেছেন, ''টু স্টেট ও টু পিপল বা দুই দেশ, দুই দেশের নাগরিক এই ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে।''

বরেল বলেছেন, ''আমরাও এটা চাই। আমরা চাই, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হোক। দুই দেশ সমাধানসূত্র মেনে সার্বিক আঞ্চলিক চুক্তি হোক। আমাদের দেখতে হবে, বাস্তবে কী করে এর জন্য এগোতে হবে।''

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে লাপিদের পর বলতে উঠে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ''ইসরায়েল এলাকা দখলের নীতি নিয়ে চলছে। তাই ন্যায় ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি সম্ভাবনা কমছে।''

বরেলের উদ্বেগ

বরেল বলেছেন, ''জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ফিলিস্তিনি এলাকায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ২০০৭-এর পর ওখানে এত মানুষ সংঘর্ষে মারা যাননি।''

ইসরায়েল এবং ইইউ ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নবীকরণ নিয়েও আলোচনা করেছে। গত মাসেই জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে বৈঠকের পর লাপিদ বলেছিলেন, এই চুক্তির নবীকরণ হলে তা বড় ভুল হবে।

বরেল বলেছেন, ''এই বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউ-র মতভেদ আছে। তবে এখন এই বিষয়ে আলোচনা বন্ধ আছে।''

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)