১০টি সেরা বক্স অফিস হিট ছবি
বক্স অফিস মানে ডলারের অঙ্ক৷ সেই হিসেবে দুনিয়ার সেরা ফিল্মের তালিকায় দশম স্থানটি সদ্য অধিকার করেছে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’৷ তবে দশ নম্বর থেকে পয়লা নম্বরে ওঠার ক্ষমতা কি আছে মার্ভেল-এর এই ছবিটির?
‘আভাটার’ (২০০৯)
পরিচালক জেমস ক্যামেরনের ‘আভাটার’ এ পর্যন্ত রোজগার করেছে ২ দশমিক ৭৯ ডলার বা ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ইউরো৷ দ্বাবিংশ শতাব্দীতে প্যান্ডোরা নামের একটি চাঁদের ওপর খনি বসানো নিয়ে অধিবাসীদের সঙ্গে মানবদের সংঘাত এই কল্পবিজ্ঞান কাব্যটির পটভূমি৷ অভিনয়ে ছিলেন এবং আছেন স্যাম ওয়ার্দিংটন, জোই সালডানা ও সিগুর্নি উইভার৷
‘টাইট্যানিক’ (১৯৯৭)
ক্যামেরনের আরেকটি বক্স অফিস স্ম্যাশ! বিশ বছর আগে মোহরতের পর থেকে ছবিটি বহুবার রি-রিলিজ হয়েছে ও সাকুল্যে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো রোজগার করেছে৷ কাহিনী: ১৯১২ সালের এপ্রিল মাসে ‘টাইট্যানিক’ নামের ব্রিটিশ ওসেনলাইনারটি তার প্রথম যাত্রাতেই একটি সুবিশাল হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়৷ তবে ছবির আসল আকর্ষণ সম্ভবত তরুণ লিওনার্ডো ডিকাপ্রিও ও কেট উইন্সলেটের জুটি৷
‘স্টার ওয়ার্স এপিসোড ৭: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স’ (২০১৫)
স্টার ওয়ার্স ফ্র্যানচাইজের সপ্তম ছবিটি দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি (১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ইউরো) রোজগার করেছে৷ প্রয়োজনা ও পরিচালনা: জে. জে.অ্যাব্রাম্স, অর্থাৎ ফ্র্যানচাইজটির স্রষ্টা জর্জ লুকাস এই প্রথম হাত লাগাননি৷ তাঁর লুকাসফিল্ম নামের কোম্পানিটিও গেছে ডিসনির হাতে ২০১২ সালে৷
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ (২০১৫)
স্টিভেন স্পিলবার্গের ১৯৯৩ সালের ‘জুরাসিক পার্ক’ নামের হিট ছবিটির বহুল প্রতীক্ষিত সিকোয়েল মুক্তি পায় ২০১৫ সালে৷ সারা বিশ্বে মোট ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ইউরো রোজগার করে ছবিটি৷ ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’ নামের পরের সিকোয়েলটি মুক্তি পাবার কথা ২০১৮ সালের জুন মাসে৷
‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ (২০১২)
এই সুপারহিরো অ্যাকশন ফিল্মটিতে ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা আর ‘হাল্ক’সহ (ছবি) মার্ভেল কমিক্স পর্যায়ের একাধিক বড় বড় চরিত্রকে দেখতে পাওয়া যাবে৷ ছবিটি এযাবত আয় করেছে দেড় বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো৷
‘ফিউরিয়াস ৭’ (২০১৫)
‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ ফ্র্যানচাইজের সপ্তম পর্বটি রোজগার করেছে ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ইউরো৷ অভিনেতা পল ওয়াকার (বাঁয়ে) একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পর তাঁর ভায়রা পল-এর বদলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে শুটিং সমাপ্ত করতে সাহায্য করেন৷
‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অফ আল্ট্রন’ (২০১৫)
‘অ্যাভেঞ্জার্স’ পর্যায়ের এই সিকোয়েলটিতে আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা, ব্ল্যাক উইডো (ছবিতে) এবং থর একত্রিত হয়ে বক্স অফিসে মোট ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ইউরো রোজগার করেছেন৷ ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’সহ আরো দু’টি অতিরিক্ত সিকোয়েলের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেগুলি ২০১৮ সালের এপ্রিলের শেষে মুক্তি পাবার কথা৷
‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ, পার্ট টু’ (২০১১)
সারা বিশ্বে হ্যারি পটার বইগুলোর ৫০ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে৷ কাজেই সিনেমাতেও যে সে কাহিনী একই ভেলকি দেখাবে, তা তো জানা কথা৷ এ ছবির রোজগার: ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরোর কিছু কম৷
‘স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডাই’ (২০১৭)
স্টার ওয়ার্স ট্রিলজির দ্বিতীয় খণ্ডটির পরিচালক ছিলেন রায়ান জনসন, অভিনয় করেছিলেন ক্যারি ফিশার, অ্যাডাম ড্রাইভার ও ডেইজি রিডলের মতো তারকারা (ছবি)৷ ছবিটি আয় করে মোট ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরোর কিছু কম৷ ট্রিলজির শেষ ছবিটি পরিচালনা করবেন আবার জে. জে. অ্যাব্রাম্স; মুক্তি পাবার কথা ২০১৯ সালে৷
‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ (২০১৮)
বক্স অফিস টপ টেনের তালিকায় নতুন সংযোজন হলো এই ছবি৷ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে মোট ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার বা ১ বিলিয়ন ইউরোর কিছু বেশি রোজগার করেছে৷ ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর পরের সিকোয়েলে নাকি ব্ল্যাক প্যান্থারকেও দেখা যাবে – মুক্তি পাচ্ছে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের শেষে৷