হোয়াইট হাউসে ওবামা পরিবারের ৮ বছর
দুই দফা থাকার পর হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন ওবামা পরিবার, জায়গা করে দিচ্ছেন ট্রাম্প পরিবারের জন্য৷ হোয়াইট হাউসে ওবামা পরিবারের কিছু বিশেষ মুহূর্ত আপনাদের জন্য...
বিবাহিত এবং সন্তানের জনক
২০০৯ সালে ওবামা পরিবার প্রথম হোয়াইট হাউসে ওঠে৷ মালিয়ার বয়স তখন ১০ আর শাসা তখন ৭ বছরের৷ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের কারণে অন্য আর দশটি সাধারণ অ্যামেরিকান পরিবারের মতোই মনে হয়েছে ওবামা পরিবারকে৷
প্রেসিডেন্টের মাথায় হাত!
প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বতঃস্ফূর্ত এবং মাটির মানুষ৷ ওভাল অফিসে এক কর্মীর পরিবার দেখা করতে এসেছিল, সেই সময় তাদের ছোট্ট ছেলেটির ইচ্ছে হলো প্রেসিডেন্টের চুল ছুঁয়ে দেখার৷ তার চুল ওবামার মতো কিনা পরীক্ষা করে দেখতে চাইলো৷ ওবামাও সাথে সাথে মাথা নীচু করলেন৷
সুপার বোল
হোয়াইট হাউসে নিজেদের মুভি থিয়েটারে এক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি থ্রিডি চশমা লাগিয়ে সুপার বোল দেখছেন৷
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো
২০১১ সালের মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি টিভিতে উপভোগ করছে ওবামা পরিবার৷ তাদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা৷ হোয়াইট হাউসের আলোকচিত্রী পিট সুজা পারিবারিক এই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন৷
প্রথম পোষ্য
সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির কাছ থেকে পাওয়া উপহার এটি৷ পর্তুগিজ ওয়াটার ডগটির নাম ‘বো’৷ ওবামা পরিবারের সঙ্গে এটি যুক্ত হয় ২০০৯ সালে৷ চার বছর পর সানি নামে একই প্রজাতির একটি মাদি কুকুর পরিবারকে পরিপূর্ণতা দেয়৷
তোমার প্রতিবেশী বন্ধু স্পাইডারম্যান
ওহ হো! স্পাইডারম্যানের মাকড়সা জালে আটকা পড়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি! হ্যাঁ ওবামা এমনই, বরাবরই খেলতে ভালোবাসেন৷ ২০১২ সালে হ্যালোইনের ঠিক আগে হোয়াইট হাউসে এক শিশুর সঙ্গে খেলার সময় এভাবেই ক্যামেরায় বন্দি হন ওবামা৷
সব শক্তিশালী মানুষের পেছনে...
প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে নাকি একজন নারীর হাত থাকে৷ এক্ষেত্রেও ঠিক তাই৷ ওবামা পরিবারে এই নারীর জনপ্রিয়তা কিন্তু তাঁর স্বামীর জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেছে৷ জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তিনি বরাবরই ৭০ ভাগ সমর্থন পেয়ে আসছেন, যেখানে তার স্বামীর জনপ্রিয়তা নেমে গেছে ৪০ শতাংশে৷ এই দম্পতিকে বলা হয় ‘স্বপ্নযুগল’৷
মা-কর্ত্রী
মা হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব এবং রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য অনেক অ্যামেরিকানের কাছে মিশেল অত্যন্ত পছন্দের৷ একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসের বাগানে মিশেল এবং একদল শিক্ষার্থী মিষ্টি আলুর চারা বুনছে৷
কখনো কোনো কিছুতে বিচলিত না হওয়া
পোশাকের ক্ষেত্রে তার পছন্দ-অপছন্দ বিশ্ববাসী ততটাই লক্ষ্য করেছে, যতটা তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা৷ এমনকি এলমো আর রোজালিতার পাশে বসেও তার স্টাইলে কোনো বিচ্যুতি চোখে পড়ে না৷
‘এটা আমার মেয়েদের জন্য’
কারপুল কারাওকি সিরিজে ফার্স্ট লেডি এই ক্লিপটির ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে৷ ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৫ কোটি বার৷ হোয়াইট হাউসে গাড়ি চালাচ্ছেন জেমস করডেন৷ তখনই মিশেল এবং মিশি এলিয়ট বলে ওঠেন ‘এটা আমাদের মেয়েদের জন্য’৷
অভিষেকের সেলফি
এমন অসম্ভব উচ্ছ্বল বাবা-মায়ের সন্তান শাসা ও মালিয়াও বাবা-মা’র মতোই ‘কুল’৷ ২০১৩ সালে যখন তাদের বাবা’র অভিষেক হচ্ছিল, সেই সময় দুই বোন ব্যস্ত ছিল সেলফি তোলায়৷
পরিবার অন্তঃপ্রাণ
হোয়াইট হাউসে থাকার সময় মালিয়ার ১৮তম জন্মদিন উদযাপন৷ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ঐ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন,‘‘ বাবা হিসেবে আমি যে কাজটা করছি তাতে হয়ত আমার মেয়েরা বিব্রত হয়েছে, কিন্তু এটাই আমার শেষ বার৷’’ বক্তব্যে এর পুরো ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি৷ অনুষ্ঠান শেষ করেন ‘শুভ জন্মদিন’ জানিয়ে৷
শুভ বিদায়, ওবামা এবং পরিবার
বারাক, মিশেল, মালিয়া, শাসা হোয়াইট হাউস ছেড়ে দিচ্ছেন৷ কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়ছেন না তাঁরা৷ এই শহরেই শাসার স্কুল আর মালিয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করবে৷