হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের পোষা প্রাণী
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো-না-কোনো পোষা প্রাণী থাকবে এ যেন প্রায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ জো বাইডেনও সেই সেই নিয়ম মেনে চলেছেন৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
বাইডেনের ‘পরিবারে’ নতুন সদস্য
পোষা প্রাণী তো প্রায় পরিবারের সদস্যই হয়ে যায়৷ হোয়াইট হাউসে এতদিন জো বাইডেনের পরিবারের সদস্যদের মতোই ছিল মেজর৷ কিন্তু দু-একজনকে কামড়ে দেয়ায় প্রিয় কুকুরটিকে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বিদায় করতে হয়েছে৷ তার জায়গায় এসেছে এক জার্মান শেফার্ড, নাম কমান্ডার৷ গত ২০ ডিসেম্বর বাইডেন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে স্বাগতম, কমান্ডার৷’’ জানুয়ারিতে একটা বিড়ালছানাও যোগ দেবে বাইডেন পরিবারে৷
ওবামার ‘বোবামা’
ডনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু একটা রেকর্ড গড়ে গেছেন৷ ১০০ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে যার কোনো পোষা প্রাণী ছিল না৷ তার আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছিলেন খুব প্রাণিপ্রেমী৷ তিনি দুই পোষা কুকুর বো আর সানিকে যে খুব ভালোবাসতেন তা কারো অজানা ছিল না৷ বো তো রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেয়েছিল৷ বাচ্চাদের অনেক বইয়ের প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে তার ছবি৷ আদর করে অনেকে বো-কে ডাকতো বোবামা৷
যে বিড়ালের ছবি ডাকটিকেটে
হোয়াইট হাউসে প্রথম বিড়াল পুষেছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন৷ বিল ক্লিন্টনেরও ল্যাব্রাডর কুকুর বাডি-র সঙ্গে সক্স নামের একটা বিড়াল ছিল৷ রাস্তা থেকে তুলে আনা সক্সকে বড় আপন করে নিয়েছিলেন ক্লিন্টন৷ ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গেলে সক্স থাকতো প্রেসিডেন্টের কাঁধে৷ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ডাক টিকেটের ছবিতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থেকে তো ইতিহাসের অংশই হয়ে গেছে সক্স৷
ডাব্লিউ বুশের কুকুর জুটি
ডাব্লিউ বুশ দুই দফায় হোয়াইট হাউসে তিনটি কুকুর আর একটি বিড়াল পুষেছেন৷ তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল টেরিয়ার জুটি মিস বিজলে এবং বার্নি৷ হোয়াইট হাউসের বেশ কিছু বিশেষ ভিডিওতে দেখা গেছে বার্নি-বিজলেকে৷
কুকুরের জন্য বদনাম
১৯৪৪ সাল৷ খবর রটে গেল, প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট আলিউটিয়ান দ্বীপপূঞ্জে অবকাশ যাপন শেষে ফেরার সময় ভুল করে ফালা-কে ফেলে চলে এসেছিলেন৷ পরে নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার জাহাজ পাঠিয়ে স্কটিশ টেরিয়ার কুকুরটিকে নিয়ে আসা হয় হোয়াইট হাউসে৷ জনগণের টাকার এমন অপব্যবহারের খুব সমালোচনা হয়েছিল তখন৷ এক নির্বাচনি সভায় রুজভেল্ট মিনতি করে বলেছিলেন কুকুরের বিষয়টি নিয়ে যেন আর ঘাটাঘাটি না করা হয়৷
ফটোজেনিক ম্যাকারনি
জন এফ কেনেডির মেয়ে ক্যারোলিনের সঙ্গে তার অনেক ছবি ছাপা হয়েছে বিখ্যাত সব ম্য্যাগাজিনে৷ কার কথা বলা হচ্ছে? কেন, ম্যাকারনি নামের সেই ঘোড়ার কথা! ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ম্যাকারনির পিঠে ক্যারোলিনের ছবি দেখেই নাকি ‘সুইট ক্যারোলিন’ গানটি গেয়েছিলেন নিল ডায়মন্ড৷
তারকা রেকুন
প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজকে একটা রেকুন উপহার দিয়ে এক সমর্থক বলেছিলেন, ‘‘এটা দিয়ে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-র আহার সেরে নিতে পারেন৷ দারুণ হবে!’’ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই রেকুন হোয়াইট হাউসে পুষেছিলেন৷ তার নাম দিয়েছিলেন রেবেকা৷
এবং অ্যালিগেটর
হ্যাঁ, হোয়াইট হাউসে অ্যালিগেটরও কিন্তু পোষা হয়েছে৷ ১৮২৫ সাল থেকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন কুইনি অ্যাডামস৷ তিনি পুষতেন একটি অ্যালিগেটর৷ ফরাসি এক জেনারেল উপহার হিসেবে অ্যালিগেটরটি দিয়েছিলেন তাকে৷ হোয়াট হাউসের বাথটাবে রাখা অ্যালিগেটরটি অতিথিদেরও দেখাতেন প্রেসিডেন্ট কুইনি অ্যাডামস৷