1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
খেলাধুলাঅস্ট্রেলিয়া

হেড-ওয়ার্নারের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৮

২৮ অক্টোবর ২০২৩

ধর্মশালায় টসে হেরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৮ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া৷ দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের পর শেষদিকের ব্যাটারদের তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ পেয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/4Y8r9
দলে ফিরেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের জাত চেনালেন ওপেনার ট্রাভিস হেড৷ছবি: Ashwini Bhatia/AP/picture alliance

ধর্মশালায় টসে হেরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৮ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া৷ দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের পর শেষদিকের ব্যাটারদের তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ পেয়েছে তারা৷

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটা মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়৷ ম্যাচের শুরুতে দুই ওপেনার হেড ও ওয়ার্নার শুরু করেছিলেন ঝড়৷ মধ্যে সেই ঝড়ো হাওয়া কিছুটা ধরে আসার পর শেষদিকে আবার ঝড় শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিশ ও প্যাট কামিন্স৷ মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করলেও নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়া থেকে আটকাতে পারেনি তাসমান সাগরের প্রতিবেশীদের৷

হেড আর ওয়ার্নার যা শুরু করেছিলেন, সেটার পর এই স্কোরকে অবশ্য কমই মনে হবে৷ প্রথম ওভারেই ম্যাট হেনরিকে দুই চার মেরে ওয়ার্নার নিজেদের বার্তাটা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন৷ তবে অস্ট্রেলিয়া স্টিমরোলার শুরু করেছে ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকে৷ হেনরির নো বলময় ওই ওভার থেকে হেড ও ওয়ার্নার মিলে নিয়েছেন ২২ রান৷

এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলাররা স্রেফ উড়ে গেছেন৷ প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে আসে ৬৭ রান, প্রথম ১০ ওভারে আসে ১১৮ রান৷ ওয়ানডে ইতিহাসেই প্রথম ১০ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড আছে মাত্র দুটি৷ আগে ফিফটি হয়েছে ওয়ার্নারের, খেলেছিলেন ২৮ বল৷ তবে হেড ছিলেন আরও বেশি আগ্রাসী, মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পেয়ে গেছেন৷

Inden I Cricket World Cup - Australien vs Neuseeland
অস্ট্রিলয়ান ব্যাটারদের তাণ্ডবের মধ্যেও ৩৭ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন ফিলিপ্স৷ছবি: Ashwini Bhatia/AP/picture alliance

দুজনের তাণ্ডব কতটা বেশি ছিল, সেটা বোঝা যাবে একটা তথ্যে- ইনিংসের ১৪ ওভারের আগের প্রতি ওভারেই অন্তত একটা চার বা ছয় হয়েছে৷ ওয়ার্নার-হেড দুজনেই যখন সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন মঞ্চে আসেন প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের নায়ক গ্লেন ফিলিপ্স৷ শুরু থেকেই দারুণ আঁটোসাঁটো বোলিং করছিলেন, ওয়ার্নারকে নিজের বলে ক্যাচ নিয়ে ফেরান ৮১ রানে৷

ওদিকে ৭০ ও ৭৫ রানে দুইবার জীবন পেয়েছেন হেড, কঠিন দুইটি সুযোগ নিতে পারেননি স্যান্টনার-ফিলিপ্স৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৯ বলে পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি৷ এই বিশ্বকাপে চোটের জন্য বাইরে থাকার পর আজই প্রথম নেমেছেন হেড, জানান দিয়েছেন কেন চোট থাকার পরও তাকে দলে রেখে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে তার ইনিংসও থেমেছে ফিলিপ্সের বলেই৷

এরপর রানের চাকাটা একটু শ্লথ হয়ে গেছে অসিদের৷ স্মিথ থাকেননি বেশিক্ষণ, মার্শ অবশ্য একদমই স্বচ্ছন্দে ছিলেন না৷ ৫১ বলে ৩৬ রানের মার্শের ইনিংসটা পরিস্থিতির সঙ্গেও বেমানান৷ পরে ১ রানে জীবন পেয়েও লাবুশেন ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি৷ অস্ট্রেলিয়ার ৪০০ রানের একদম কাছেই মনে হওয়া চূড়াটা যখন ধওলাগিরির শিখরের পেছনে চলে যাচ্ছে, তখন এলেন ম্যাক্সওয়েল৷ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ম্যাচটা যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, আজ শুরু করলেন সেখান থেকেই৷ স্যান্টনারের এক ওভারে দুই ছয় মারলেন, একটি ছয় আছড়ে পড়ল স্টেডিয়ামের ছাদে৷ শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েলকে ২৪ বলে ৪১ রানের বেশি করতে দিলেন না জিমি নিশাম৷

Inden I Cricket World Cup - Australien vs Neuseeland
মারকুটে মেজাজে থাকা ম্যাক্সওয়েলকে ২৪ বলে ৪১ রানের বেশি করতে দিলেন না জিমি নিশাম৷ছবি: Ashwini Bhatia/AP/picture alliance

কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ব্যাটনটা দিয়ে যান ইংলিশ ও কামিন্সকে৷ শেষ দিকে কিউই ফিল্ডারদের একের পর এক ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে আরেক দফা ঝড় শুরু করেন দুজন৷ ২৮ বলে ৩৮ রান করে ইংলিশকে থামান বোল্ট৷ এক বল পরেই বোল্টের ডেলিভারিতে ১৪ বলে ৩৭ রানে এলবিডব্লু হয়ে যান কামিন্স৷ জাম্পাকে আউট করে সেই ওভারে আরেকটি উইকেট নিয়ে কার্যত অস্ট্রেলিয়ার ৪০০ রানের আশা শেষ করে দেন বোল্টই৷ আর পরের ওভারে স্টার্কও আউট হয়ে গেলে ৩৮৮ রানেই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া৷

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৩৮৮ (হেড ১০৯, ওয়ার্নার ৮১; ফিলিপ্স ৩/৩৭, বোল্ট ৩/৭৭)