1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে খেলাধুলা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আধুনিক নাগরিক জীবনযাত্রা যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর নয়, অনেকেই হাড়ে হাড়ে সেটা টের পান৷ কিন্তু আচমকা বাড়াবাড়ি কসরত করাও উচিত নয়৷ এক ব্যক্তি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে সুস্বাস্থ্যের পথে ফিরে তার সুফল ভোগ করছেন৷

https://p.dw.com/p/3XvMg
Aerobic wird 35
ছবি: picture-alliance/dpa

টর্স্টেন ভেন্ট এখন চুটিয়ে খেলাধুলা করেন৷ অথচ তার অতীতটা এমন নয়৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক প্রকল্প আয়োজন করেছি৷ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি৷ সারাক্ষণ বাইরে বাইরে থেকেছি৷ নিজেকে কিন্তু লুকিয়ে রাখতাম৷''

 এমন জীবনযাত্রার পরিণাম ভালো হয় না৷ উচ্চতার তুলনায় তাঁর ওজন অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে৷ ফলে হৃদযন্ত্রের উপর মারাত্মক চাপ পড়েছে৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রাংক ক্র্যুমেল তাঁর জন্য চরম সতর্কতা জারি করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘হৃদযন্ত্রের পাম্পিং ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত হয়ে পড়েছে৷ আপনার ক্ষেত্রে ৩৬ শতাংশ৷ স্বাভাবিক মাত্রা ৫৫ শতাংশ৷''

তবে একইসঙ্গে তিনি সাহসও দিচ্ছেন৷ টর্স্টেন চাইলে নিজেই অবস্থা বদলাতে পারেন৷ তিনি যথেষ্ট নড়াচড়া করে ওজন কমাতে পারলে তাঁর হৃদযন্ত্রেরও উপকার হবে৷ টরস্টেন ভেন্ট বলেন, ‘‘বোধোদয় ঘটতে মাস তিনেক সময় লাগলো৷ তারপর একবার হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে বললাম, এই মুহূর্ত থেকে তোমার নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে হবে৷''

সেই দিন থেকে তিনি ওজনের দিকে নজর রাখছেন৷ প্রতিদিন নিজের ওজন মাপছেন৷ টর্স্টেনের মতো দুর্বল হৃদযন্ত্রের মানুষের জন্য এমনটা করা জরুরি৷ এভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷

ডাক্তারের পরামর্শে তিনি নিজের খাদ্যাভ্যাসও বদলে ফেলেছেন৷ অত্যধিক মাংসের বদলে মাছ, শাক-সবজি ও স্বাস্থ্যকর তেল খাচ্ছেন৷ হাতেনাতে ফলও পাওয়া গেছে৷ এক বছরে টর্স্টেন ২০ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘আজ আমি সুপারমার্কেটে গেলে আমার ঝুড়ি দেখলে মনে হবে আমি যেন বাগানের উপকরণ কিনছি৷''

স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শুধু সঠিক খাদ্য খেলেই চলবে না, সেইসঙ্গে নিয়মিত খেলাধুলাও করতে হবে৷ টর্স্টেন আলস্য ঝেড়ে ফেলে সেই পথ বেছে নিয়েছেন৷ ফলে তাঁর হৃদযন্ত্রেরও উপকার হচ্ছে৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রোফেসর ড. হার্ম ভিনব্যার্গেন বলেন, ‘‘হৃদযন্ত্র একদিকে আরো কম চাপে কাজ করতে শেখে৷ তথাকথিত ‘আফটারলোড' বা প্রতিরোধ কমে যায়৷ দুর্বল হৃদযন্ত্রের ক্ষেত্রে অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়৷ নিয়মিত খেলাধুলা করলে সেটা কমে যায়৷''

টর্স্টেন ধীরে ধীরে খেলাধুলা শুরু করে ভালোই করেছেন৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞও সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ সঙ্গে কিছু ব্যায়ামও দেখিয়ে দিয়েছিলেন৷ ড. ক্র্যুমেল বলেন, ‘‘কেউ যদি কখনো হাঁটতে না বেরিয়ে থাকে, তাকে সবার আগে ব্রিস্ক ওয়াকিং করতে বলি৷ তারপর বলি নিজের ক্লান্তি নিজেই অনুভব করো৷ না পারলে কোনোমতেই জোর করে চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়৷ তখন গতি কমিয়ে ধীরে ধীরে বাসায় ফিরে যেতে হবে৷ আধ ঘণ্টা হেঁটে বাসায় ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়াই আদর্শ অবস্থা৷''

নিজের বাসার একটি ঘরে টর্স্টেন ছোট একটি জিম গড়ে তুলেছেন৷ সেখানে বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে তিনি ব্যায়াম করেন৷

এক বছর অনুশীলনের পর এখন তাঁর অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে৷ হৃদযন্ত্র অনেক ভালোভাবে কাজ করছে এবং তিনি নিজে বেশ ভালো বোধ করছেন৷

সিগরুন ডামাস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান