হাস্যরসের জার্মান সংস্কৃতি
জার্মানির জটিল ভাষা আর ভিন্নরকম সংস্কৃতি অন্যদের কাছে হাস্যরসেরও কারণ৷ জার্মানদের কর্মকাণ্ড আর ভাষার জটিলতা ছবিঘরে কয়েকটি কার্টুন দেখে জেনে নিন৷
ছোট কাজের বড় প্রস্তুতি
কোনো কাজ শুরু করার আগেই সেটির জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেন জার্মানরা৷ কাজটি করতে গিয়ে হয়ত ওই যন্ত্রের দরকার পড়বে না, তবুও সেটি সংগ্রহে থাকা চাই৷ ছোট্ট সংস্কার কাজও তাঁরা সব যন্ত্রপাতি হাতে আসার আগে শুরু করতে চান না৷ এই শিশুর ভাষ্যেও তাই ফুটে উঠছে, কীভাবে জার্মানরা কোনো কাজকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে করে থাকেন৷
জটিল ভাষা
তিনটি লিঙ্গের জন্য আলাদা আলাদা অব্যয় আছে জার্মান ভাষার৷ সেই সঙ্গে কারকের ব্যবহার আর বিশেষণ শেষ হওয়ারও রয়েছে আলাদা নিয়ম৷ এসব কারণে জার্মান ভাষা সন্দেহাতীতভাবে জটিল৷ জার্মান প্রবচনই আছে, ‘‘ডয়চে স্প্রাখে, শ্যোয়ারে স্প্রাখে বা জার্মান ভাষা, কঠিন ভাষা৷’’ ১৮৮০ সালে এক প্রবন্ধে মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন তাই লিখেছিলেন, ‘‘যে লোক জার্মান পড়েনি, সে জানবে না কতটা জটিল এই ভাষা৷’’
পরিচিত জিনিসে নিবদ্ধ থাকা
নিজেদের পরিচিত জিনিসে দৃঢ় থাকেন জার্মানরা৷ জার্মানদের সেই প্রবণতা মাথায় রেখে খাবার তালিকা ঠিক করে ইউরোপের পর্যটন এলাকাগুলোর রেস্তোরাঁগুলো৷ সেসব রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে, জার্মানরা নিজেদের খাবার ব্রেড সসেজ, স্নিটসেল, ফ্রাই ও বিয়ারই বেশি গ্রহণ করছেন, যদিও ওইসব এলাকায় স্থানীয় অনেক মজাদার খাবার রয়েছে৷
জায়গার দখল দেওয়া
পাবলিক প্লেসেও নিজের জন্য জায়গা দখল দেওয়ার সংস্কৃতি আছে জার্মানদের৷ খুব সকাল সকাল সমুদ্র সৈকতে গিয়ে টাওয়েল বিছিয়ে জায়গার দখল নেন এবং এরপর নাস্তা করতে যান, এমন বদনাম আছে জার্মান পর্যটকদের বিষয়ে৷ জার্মান কুকুরও হয়ত টাওয়েল বিছিয়ে জায়গার দখল নিচ্ছে, এমনটাই দেখানো হয়েছে কার্টুনটিতে৷
কেবল অভিযোগ আর অভিযোগ
অনেক বেশি রোদ্দুর, খুব বৃষ্টি, প্রচন্ড গরম কিংবা অতি ঠান্ডা — এভাবে নানা ধরনের অভিযোগ করে যাওয়ার প্রবণতা জার্মানদের মধ্যে আছে৷ এমনকি মলমের মধ্যেও মাছি পেয়ে বসেন তাঁরা এবং সেটা নিয়েই চলতে থাকে অভিযোগের পর অভিযোগ৷ কিন্তু তার মানে এই নয়, জার্মানরা খুব অসুখী৷ ২০১৭ সালে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চ (ডিআইডাব্লিউ)-এর জরিপে দেখা যায়, পুনরেকত্রীকরণের সময় থেকে ধরলে বর্তমানে সবচেয়ে সুখী আছেন জার্মানরা৷
নগ্নতা নিয়ে বিপত্তি
জার্মানির মতো নগ্নতার চর্চা অন্য কোথাও নেই৷ ‘ফ্রাইক্যোর্পারকুলটুর’ (এফকেকে) বা উন্মুক্ত শরীরের সংস্কৃতি আছে এই দেশে৷ এখানে কেবল সমুদ্র সৈকতে নয়, মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেনে দেখা মিলবে নগ্ন শরীরের৷ এমনকি বার্লিন চিড়িয়াখানার বহু পুরনো ওকস গাছের তলায়ও নগ্ন শরীরের দেখা মিলতে পারে৷ কিন্তু জায়গা না বুঝে নগ্ন হলে বাঁধতে পারে বিপত্তি৷