হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না, ইইউকে বিএনপি
১২ মার্চ ২০২৩বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেন।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বে ডেনমার্ক, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতেরা অংশ নেন বৈঠকে।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু জানান, বাংলাদেশে মানবাধিকার, আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে৷
নির্বাচন নিয়ে কী আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আগামী নির্বাচনে যদি দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশ যে সংকটের দিকে যাবে, এই শঙ্কা দেশের ভেতরে যেভাবে কাজ করছে, দেশের বাইরেও কাজ করছে। এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) জানতে চাইছে যে, কীভাবে আগামী নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে, কীভাবে এটাকে নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করা যায়।''
তিনি বলেন, "অবশ্যই এ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- সেটা আমরা খোলাখুলিভাবে বলেছি। বিশ্বে যারা বাংলাদেশের ওপর নিবিড়ভাবে কাজ করছে, পর্যবেক্ষণ করছে, সবার আছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বর্তমান দখলদার, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি, তাদের সরকার, তাদের সংসদ নির্বাচিত করতে পারবে না। এই বিষয়টা প্রতিনিয়ত যেভাবে বলা হচ্ছে, তাদের কাছে জানা আছে।”
পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এর অংশ হিসাবেই বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক ছিল বলে এক টুইটে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জোটটির রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটেলি৷
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকের ছবিও টুইট করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার৷ টুইটে তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে হাতেকলমে জানতে পেরে ভালো লাগছে৷''
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, গুলশানের এবিসি হাউজে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। তবে বৈঠক শেষে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
এডিকে/এআই (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)