1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামলা শুরুর বর্ষপূর্তির পরেই আরো বড় হামলা?

২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরের মাথায় রাশিয়ার আরো বড় হামলার আশঙ্কা করছে ইউক্রেন৷ তার আগেই যতটা সম্ভব প্রস্তুতির উপর জোর দিচ্ছে কিয়েভ৷ রাশিয়া ন্যাটোর সরঞ্জাম ধ্বংসের জন্য সৈন্যদের পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/4N0T7
রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান' চালু থাকবে
রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান' চালু থাকবেছবি: Head of Ukraine's Presidential Office Andriy Yermak via Telegram/REUTERS

২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া৷ প্রায় এক বছর পূর্ণ হবার আগে রাশিয়া তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারে নি৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির ধারণা, আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে রুশ বাহিনী মরিয়া হয়ে ইউক্রেনের পূর্বে অন্তত কিছু এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে মুখরক্ষা করতে চাইছে৷ তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাটেল ট্যাংক এসে পড়ার আগে জোরালো হামলা চালিয়ে কিছু সুবিধা আদায় করতে চাইছে সে দেশ৷ পূবের বাখমুত ও আশেপাশের দশটি গ্রাম ও শহরের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী৷ আরো কয়েকটি শহরে হামলার খবর পাওয়া গেছে৷

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ আশঙ্কা করছেন, যুদ্ধের বর্ষপূর্তির দিন থেকেই রাশিয়া নতুন উদ্যমে বড় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে৷গত বছর রাশিয়া যে প্রায় তিন লাখ ২০,০০০ পুরুষকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করেছে, তাদের প্রায় অর্ধেক নতুন এই অভিযানে অংশ নিতে পারে৷ রেজনিকভ বলেন, সে কারণেই তিনি ইউক্রেনের সহযোগী দেশগুলির কাছে যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন৷ ফ্রান্স সফরকালে তিনি আরও অস্ত্রের আবেদন করেন৷ উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহেই আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে৷

রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান' চালু থাকবে৷ পশ্চিমা বিশ্বের সরবরাহ করা ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারি অস্ত্রের কারণে সেই সংঘাত আরও মারাত্মক হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো৷ন্যাটো দেশগুলি থেকে সরবরাহ করা অস্ত্রও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস বা দখল করতে পারলে রুশ সৈন্যদের জন্য বাড়তি পুরষ্কার ঘোষণা করেছে রাশিয়ার এক কোম্পানি৷ ক্রেমলিন সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে৷

ইউক্রেনের উপররাশিয়া সত্যি আরো জোরালো হামলা শুরু করলে পশ্চিমা বিশ্ববর্তমান ‘সংযম' কতটা আঁকড়ে ধরে থাকবে, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী ‘রেড লাইন' বদলে চলেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেপ বরেল বুধবার বলেন, অ্যামেরিকা ও জার্মানির মতো দেশ শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি বিস্মিত হবেন না৷ আপাতত এই দুই দেশ অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে৷ ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের মতো দেশ বিষয়টি বিবেচনার পক্ষে সওয়াল করছে৷ বরেল মনে করিয়ে দেন, যে ব্যাটেল ট্যাংক নিয়েও শুরুতে তর্ক-বিতর্কের পর ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে৷

বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পখাতের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ এর আওতায় একাধিক দেশের ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ খর্ব করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে এক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা মরিয়া হয়ে  রাশিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করছে ওয়াশিংটন৷ রুশ অস্ত্র ব্যবসায়ী ইগর জিমেনকভও সেই তালিকায় রয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)