Hitchbot, der trampende Roboter
১২ মে ২০১৫হামবুর্গের পথে আমি এক রোবটের খোঁজ করছি৷ তার নাম হিচবট৷ তাকে তৈরি করেছেন ক্যানাডার বিজ্ঞানীরা৷ সে আবার হিচহাইকিং করে জার্মানি ঘুরছে৷ সে নাকি গাড়িচালকদের সঙ্গে কথাও বলতে পারে৷ কথাটা কি সত্যি? জিপিএস সিগনালের মাধ্যমে তার খোঁজ পাওয়া গেল৷ ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর সে সংকেত পাঠায়৷ হিচবট-এর ডেভেলপার ডেভিড হ্যারিস স্মিথ বলেন, ‘‘একটা আইডিয়া ছিল এটা দেখা, যে মানুষ কি রোবটকে সাহায্য করবে? আমরা জানতে চেয়েছিলাম, মানুষ কি তাকে মেনে নিয়ে তাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে৷''
প্রথম দর্শনে হিচবট-কে ঠিক রোবট নয়, পুতুল বলে মনে হলো৷ ওজন বেশি নয়, কিন্তু ধরাও সহজ নয়৷ গাড়ির সিগারেট লাইটারের মাধ্যমে সে তার বিদ্যুৎ পায়৷ তার সঙ্গে সংলাপ চালানো মোটেই সহজ নয়৷
– বললাম, হিচি – চলো যাওয়া যাক৷
– কোথায় যেতে চাও?
– হিচবট?
– নাঃ, তুমি দেখছি মোটেই মিশুকে নও৷
হিচবট তখন বলে উঠলো:
– আমি কি গাড়িতে?
– হ্যাঁ হিচবট, তুমি এখন গাড়িতে৷
– দেখো, তোমাকে কেউ চিনতে পেরেছে৷
– হ্যাঁ, জার্মানিতে তোমার অনেক ফ্যান রয়েছে৷ তুমি তাদের সঙ্গে কথা বলছো না, এটা দুঃখের বিষয়৷
কথা বেশি না বললেও, তাকে দেখে বিস্ময় জাগে বৈকি৷
ডেভিড হ্যারিস স্মিথ বলেন, ‘‘যারা বলবে, ‘না, এটা আসল বিজ্ঞান নয়', তাদের সঙ্গে আমি একমত৷ তাছাড়া এটা একেবারেই প্রচলিত ‘ইউজার স্টাডি'-র মতো নয়৷ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই হলো আবিষ্কারের আনন্দ৷ একবার এক বৃদ্ধ দম্পতি পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন৷ গাড়ি থামিয়ে তাঁরা হিচবট-কে তুলে নিলেন৷ বললেন, এর আগে কখনো কোনো হিচহাইকার-কে গাড়িতে তুলিনি৷ কিন্তু সংবাদমাধ্যমে হিচবট সম্পর্কে জেনেছি৷ আমরা বললাম, কেন নয়? অর্থাৎ হিচবট-এর কারণে সে একটা রাইড পেল৷''
সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল অনুযায়ী হিচবট কথাবার্তায় বেশ পটু৷ কিন্তু সরাসরি সংলাপে সে তথ্যভাণ্ডারে রাখা কথা বলে অবাক করে দেয়৷ তাকে প্রশ্ন করা হলো,
– জার্মানি ভালো লাগে?
– ‘‘মিত্রশক্তি নিয়ন্ত্রিত ৩টি এলাকা থেকে ১৯৪৯ সালে ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র সৃষ্টি হয়, সোভিয়েত জোনে জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র৷''
– বাঃ বেশ তো৷ কিন্তু এটা ঠিক আমার প্রশ্নের উত্তর নয়৷ তোমার জার্মানি ভালো লাগে?
– ‘‘ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে জার্মানিতে শিল্পবিপ্লব আরও জোরদার হয়৷''
ডেভিড হ্যারিস স্মিথ বলেন, ‘‘হিচবট আসলে সময় দিলে বেশ মনোরঞ্জন করতে পারে৷ এর জ্ঞানভাণ্ডার বেশ গভীর৷ কখনো তার সঙ্গে কয়েকদিন না কাটালে তার কাছ থেকে বেশি কিছু শোনা যাবে না৷ একদিন সে হঠাৎ করে নেলি ফুরটাডো-র গান ‘আই অ্যাম লাইক আ বার্ড' গাইতে শুরু করলো৷''
হিচবট আসলে ‘সিরিয়াস' বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক এক্সপেরিমেন্ট৷ তার সঙ্গে সময় কাটাতে বেশ মজা লাগে, তার বেশি কিছু নয়৷
সত্যি, ভেবেছিলাম বেশ মিশুকে সহযাত্রী পাবো৷ এবার তাকে দেখতে হবে, সে কী ভাবে আরও এগিয়ে যেতে পারে৷