হাতকড়ায় বাঁধা দম্পতির বিচ্ছেদ
ভেবেছিলেন হাতকড়ায় বাঁধা পড়লে নতুন করে বাড়বে ভালোবাসা৷ কিন্তু তা না হয়ে বিচ্ছেদের পথে ইউক্রেনের এক দম্পতি৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
যে কারণে শেকলে বাঁধা
আলেক্সান্দর কুডলে ও ভিক্টোরিয়া পুস্তোভিতোভার দাম্পত্য জীবনে এত বেশি ঝগড়া হতো, যে এক পর্যায়ে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে হাতকড়া দিয়ে নিজেদের বেঁধে ফেলেন তারা৷ ২০২১ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে’তে হাতকড়ায় বেঁধে ফেলেন নিজেদের৷ আশা করেছিলেন যে এভাবে থাকলে কেউ কাউকে ছেড়ে থাকবেন না ও প্রথমে কষ্ট হলেও পরে মজাই হবে৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা জীবন
বাজার-হাট করা থেকে খাওয়া, ঘুম, এমনকি বাথরুমেও দুজনে একসাথে যেতেন৷ এই হাতকড়ায় বন্দি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন ইউক্রেনের এই দম্পতি৷
হাতকড়া খুলে গেলো
টানা ১২৩দিন হাতকড়ায় বাঁধা থাকার পর ইউক্রেনের টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে মুক্ত হন এই দুজন৷ সে মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের রেকর্ড বুকের এক প্রতিনিধিও, যিনি জানান যে এমন কাজ অন্য কোনো দম্পতি এর আগে করেনি৷
ফলাফল যা
হাতকড়ার সাথে সাথে ভেঙে গেলো এই দম্পতির সম্পর্কও৷ কুডলে ও পুস্তোভিতোভার মতে, দীর্ঘদিন এভাবে সংযুক্ত থাকার ফলে দুজনেই একে অপরের বিষয়ে বেশ কিছু অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন, যা ভোলার নয়৷
শুরুতে নারাজ ভিক্টোরিয়া
প্রাথমিকভাবে হাতকড়ার এই প্রস্তাব পছন্দ হয়নি ভিক্টোরিয়ার, জানান তিনি৷ হাতকড়া খুলে যাবার পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আমার ধারণা এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয় হবে৷ শুধু আমরা কেন, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা দম্পতিরা বার্তা পাবে যাতে করে তারা আমাদের ভুলটা না করে৷’’
হাতকড়ার কী হবে?
আলেক্সান্দর ও ভিক্টোরিয়ার ১২৩দিনের সঙ্গী এই হাতকড়াটিকে নিলামে বেচবেন তারা, জানান এই দম্পতি৷ নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ তারা দান করবেন কোনো দাতব্য উদ্যোগে৷