হাইতিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১,৪০০ ছাড়ালো
এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন৷ ক্রান্তীয় ঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে৷ ফলে উদ্ধারকাজ শেষ হলে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে৷ দেখুন হাইতিতে ভূমিকম্প-পরবর্তী কিছু চিত্র৷
চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ
সাত দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্পে বেশিরভাগ বহুতল ভবন ধসে পড়েছে৷ বাড়িঘর, স্কুল, অফিস, গির্জা কোনোকিছুই আস্ত দাঁড়িয়ে নেই৷ এখন পর্যন্ত দেশটিতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প এটি৷ সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার লে কাই শহরের আশেপাশে৷
হতাহত বাড়ছে
ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ কিন্তু বিপুল পরিমাণ ইট-পাথর-কংক্রিট সরিয়ে দ্রুতগতিতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হচ্ছে না৷ এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৪শ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন সাত হাজারের বেশি মানুষ৷ তবে এ সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা
উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করছে ক্রান্তীয় ঝড়ও৷ ক্যারিবীয় সাগরে নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ঝড়ে রূপ নিয়েছে৷ ঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে গ্রেস৷ এর প্রভাবে ২৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বৃষ্টির ফলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার৷
সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান
অনেক মানুষ খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ বেশিরভাগ বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকারের তরফ থেকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ হাইতির সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি এক টুইটে যাদের বাড়ি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তাদের ‘ভালো প্রতিবেশী’ হিসাবে অন্যদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷
ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা
যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই চিকিৎসার ব্যাপারে উন্নত দেশকেও হিমশিম খেতে হয়৷ এমনিতেই দরিদ্র রাষ্ট্র হাইতির স্বাস্থ্যসেবা এতটা উন্নত নয়৷ তার ওপর ভূমিকম্পে হাসপাতালগুলোও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ লে কাই ওফাতমা হাসপাতাল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় ভেতরে রোগীদের রাখা যাচ্ছে না৷ হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ী তাঁবুতে, এমনকি খোলা আকাশের নীচেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷
রাজনৈতিক অস্থিরতা
কয়েক সপ্তাহ ধরে হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে৷ জুলাই মাসে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে আততায়ীরা প্রেসিডেন্ট জোভনেল ময়েসকে হত্যা করে৷ ফার্স্ট লেডিও হামলায় আহত হয়েছিলেন৷ এর আগে থেকেই ময়েসের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে চলছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা৷ দেশটির ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও এর প্রভাব পড়েছে৷