হাইতিতে জেল ভাঙল হাজার হাজার বন্দি
দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গোপন নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজধানীতে ব্যাপক উত্তেজনা। শুরু অপরাধী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষ।
হাইতিতে জেল ভেঙেছে বন্দিরা
হাইতির প্রধান জেলে রোববার আক্রমণ চালায় একটি গ্যাংয়ের সদস্যরা। ওই জেলে অন্তত তিন হাজার ৬৮৭ জন বন্দি ছিল বলে মানবাধিকার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। এখন জেলে আছে শখানেক বন্দি। বাকিরা পালিয়েছে।
তিনজনের মৃত্যু
হামলাকারীরা জেলে আক্রমণ চালানোর পর পরাস্ত হয় জেলের গার্ড এবং পুলিশ। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বয়ান
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জেলের ভিতর এবং বাইরে রীতিমতো যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল। ঘটনার পর দেখা যায়, জেলের সদর দরজা খোলা। বাইরে ভিড় জমান বন্দিদের আত্মীয়রা।
ঘটনার দায় স্বীকার
ঘটনার পর দায় স্বীকার করেছেন হাইতির একটি শক্তিশালী গ্যাংয়ের প্রধান জিমি চেরিজিয়ার। এর আগে পুলিশ অফিসার ছিলেন তিনি। জিমি জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করা।
প্রধানমন্ত্রীর ভবনের সামনে আগুন
রাজাধানীর রাস্তাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি গ্যাংয়ের লড়াই বন্ধের জন্য কেনিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হেনরি। সেখান থেকে ফেরার সময়েই এই ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীকে গোপন জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
হাইতি সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই জেলে হত্যাকারী, ধর্ষণকারীদের মতো অপরাধীদের রাখা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই পালিয়েছে। ১৮ জন কলম্বিয়ার সেনা এখনো জেলে আছেন। ২০২১ সালে হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যার অপরাধে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
হেনরি যা বলেছিলেন
প্রধানমন্ত্রী হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্টের হত্যার পর ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সে পথে তিনি হাটেননি।
হাইতির পরিস্থিতি
গ্যাংয়ের লড়াইয়ে জর্জরিত হাইতি। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কেনিয়ার কাছ থেকে এর আগেও সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করেছে হাইতির সরকার, কিন্তু লাভ হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তারক্ষীরাও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সমর্থ হচ্ছে না।