হরতালের পর বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি
১৩ জুন ২০১১বরাবরের মত হরতালের শেষ দিন, অর্থাৎ আজও, বিএনপি'র নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল অবরুদ্ধ৷ পুলিশ কোনো নেতা কর্মীকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি৷ বরং এখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় বিএনপি'র সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমসহ কয়েকজন নেতাকে৷ সেখানে উপস্থিত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান৷ তিনি অভিযোগ করেন যে, স্পিকারের অনুমতি না নিয়েই সংসদ সদস্যকে আটক করা হয়েছে৷
পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের মিরপুর, নয়াপল্টন এবং পুরান ঢাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া, মিরপুরে পিকেটাররা বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আজও হরতালের সময় মোইল কোর্টের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে তাদের নেতা-কর্মীদের আটক এবং শাস্তি দেয়া হয়েছে৷
এদিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছেন, হরতালে আইনগতভাবেই মোবাইল কোর্ট নামানো হয়েছে৷ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের৷ আর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ আবারো বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার আহ্বান জানান৷
৩৬ ঘন্টা হরতালের শেষ দিন আজ ছিল গতকালের চেয়ে ঢিলে ঢালা৷ বিকেল ৩টার পর রাজধানীর অনেক সড়কেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে৷ হরতাল শেষে সন্ধ্যায়, বিএনপি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামি দু'দিন ঢাকাসহ সারদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে৷ হরতালে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেয়া হয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ