1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকংয়ের নির্বাচনি ফলাফলের গুরুত্ব কতটা?

২৫ নভেম্বর ২০১৯

হংকংয়ে রবিবার জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এতে ৪৫২ জনের মধ্যে ৩৮৮ গণতন্ত্রপন্থি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন৷ এই ফলাফল হংকংয়ে চলমান আন্দোলনের শক্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

https://p.dw.com/p/3TgPJ
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/V. Yu

তবে হংকংয়ের রাজনীতিতে নির্বাচিত এই প্রার্থীদের কোনো গুরুত্ব নেই৷ কারণ, আইন প্রণয়নে তাঁরা ভূমিকা রাখতে পারেন না৷ এমনকি প্রধান নির্বাহী নির্বাচনেও তাঁদের ভূমিকা অতি সামান্য৷ বর্তমানে ১,২০০ সদস্যের একটি কমিটি প্রধান নির্বাহী নির্বাচন করে থাকেন৷ কমিটির বেশিরভাগ সদস্যের নিয়োগ দিয়ে থাকে চীন৷ রবিবারের নির্বাচিতদের মধ্য থেকে মাত্র ১১৭ জন ঐ কমিটিতে স্থান পাবেন৷

নির্বাচনে বিজয়ীরা মূলত সমাজ উন্নয়নে কাজ করবেন৷ যেমন, বাসের রুট ঠিক করা, ময়লা কীভাবে পরিষ্কার করতে হবে, এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা৷

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রবিবারের নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থিদের বিপুল জয়লাভের কারণে হংকংয়ে যে আন্দোলন চলছে, তা আরো গতি পাবে৷ কারণ, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম এতদিন বলে আসছিলেন যে, আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকরা নেই৷ কিন্তু রবিবারের ফল বলছে অন্য কথা৷

২০১৫ সালের নির্বাচনে মাত্র একশ জনের মতো গণতন্ত্রপন্থি জিতেছিলেন৷ এবার জিতেছেন ৩৮৮ জন৷ রবিবার ভোট দিয়েছেন প্রায় ত্রিশ লাখ ভোটার, যা একটি রেকর্ড৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে এবার এত বেশি সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে গিয়েছেন৷

এদিকে, ফলাফলের রেশ ধরে রাখতে চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, তিনি খোলা মন নিয়ে বিক্ষোভকারীদের কথা শুনবেন৷

প্রায় ছয় মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে৷ হংকংয়ের কোনো বাসিন্দা চীনে অপরাধ করলে বিচারের জন্য তাঁকে চীনে পাঠানো যাবে, এমন এক বিলের বিরুদ্ধে গত জুনে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ সেপ্টেম্বরে এই বিল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যারি ল্যাম৷ তারপর থেকে আরো পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রপন্থিরা৷ এর মধ্যে আছে প্রধান নির্বাহী ও আইনপ্রণেতা নির্বাচনে সরাসরি ভোটের আয়োজন করা এবং বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশি নির্যাতনের তদন্ত করা৷

হংকংয়ের নির্বাচন প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘‘যাই হোক না কেন, হংকং চীনের একটি অংশ৷’’ তিনি বলেন, ‘‘হংকংয়ে ঝামেলা সৃষ্টি কিংবা তার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নষ্টের কোনো চেষ্টা সফল হবে না৷’’

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)