স্বাধীনতা দিবসের দাবী: যুদ্ধাপরাধের দ্রুত বিচার
২৬ মার্চ ২০১০ভোরের আলো ফোটার পর পরই সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাড়িয়ে স্মরণ করেন একাত্তরের বীর শহীদদের৷
এরপর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রি পরিষদের সদস্য, বিরোধি দলীয় নেত্রী, বিদেশি কুটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতারা৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের জানান, খুব দ্রুতই শুরু হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ৷ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তিনি একাজে বিরোধি দলের সহায়তা চান৷
জবাবে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাও চান৷ কিন্তু তা হতে হবে নিরপেক্ষ৷
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধে নামে সাধারণ মানুষের ঢল৷ তাদের সবার মুখে একটিই কথা: যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার করতে হবে৷ রাজধানীসহ সারাদেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে৷ আয়োজন রয়েছে শিখা চিরন্তনে, বধ্যভূমিতে৷ আর ছিল শিশু-কিশোর সমাবেশ৷ বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামের এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের মুক্তযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর কথা বলেন৷
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হবে যে কোন সময়৷ আর প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জিয়াদ আল মালুম বলেছন, শুধু ব্যক্তি নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাঙালী স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল৷ আর সেই স্বাধীনতা দিবসের শপথ যুদ্ধাপরাধের বিচার৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী