‘স্বপ্নের নিবাস’ জেলখানা!
নেদারল্যান্ডসে অপরাধ কমে যাচ্ছে৷ তাই কর্তৃপক্ষ অব্যবহৃত জেলখানার এক অভিনব ব্যবহার বের করেছে৷ সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের অস্থায়ী নিবাসের করা হয়েছে৷ প্রশ্ন হলো, থাকার জায়গা হিসেবে জেলখানা কেমন?
প্রথম দর্শনে স্বপ্নের নিবাস
অপরাধ নেই৷ তাই নিজেদের কারাগারগুলো বেলজিয়াম ও নরওয়েকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডাচ সরকার৷ তারপরও অনেক জায়গা খালি৷ তাই এবার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীদের অস্থায়ী নিবাস হিসেবে এ সব কারাগার ব্যবহারের৷ ছবিটি আমস্টারডামের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেলমারবায়েস কারাগারের৷ এটি এখন একটি শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্র৷
অন্ধকারে আশার আলো
মাকো হুসা নামের এই নারী করিডোরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন৷ ৪০ বছর বয়সি এই শরাণার্থী এসেছেন ইথিওপিয়া থেকে৷ বেলমারবায়েস কারাগারে আশ্রয় নেয়া ৬০০ শরণার্থীর একজন তিনি৷
কয়েক বর্গমিটারের স্বাধীনতা
পাকিস্তানের সংঘাতময় শহর পেশওয়ার থেকে পালিয়ে এসেছেন রাওয়াইজ ভাট্টি৷ ২৬ বছরের এই উচ্ছ্বল যুবককে প্রায়ই গিটার বাজিয়ে গান গেতে দেখা যায়৷
নিপীড়নের ভয় নেই
সাবেক এই কারাগারের বর্তমান নিবাসীদের অনেকেই সংঘাত, নির্যাতন ও সুযোগের অভাবে দেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন৷ এই শান্তির আশ্রয় এখন তাদের একটা নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে৷ ছবিতে প্রার্থনায়রত ইরিত্রিয়া থেকে আসা ২৯ বছর বয়সি এক তরুণী৷
নতুন বন্ধন
বুরুন্ডির এক যুবক তাঁর নতুন কঙ্গোলিজ বন্ধুকে সাইকেল চালানো শেখাচ্ছেন৷ দু’জনই বেলমারবায়েসকে তাঁদের নতুন ঘর বলে মনে করেন৷ এই কারাগারে অনেক খালি জায়গা আছে যেখানে তাঁরা অবসর সময় কাটাতে পারেন৷
মনে পড়ে স্বজনদের কথা
ডাচ ইমিগ্রেশন সার্ভিসের হিসেবে, ২০১৫ সালে তাদের কাছে আশ্রয় চেয়ে ৫৮,৯০০ জনের আবেদন জমা পড়েছে৷ পরের বছর সংখ্যাটি কমে ৩১,৬০০ হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, শরণার্থী আসা বন্ধ নেই৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইরিত্রিয়ান এক শরণার্থী তাঁর ফেলে স্বজনদের ছবি দেখাচ্ছেন৷
শিশুরাও আছে এখানে
কারাগারে নিজের ধরে মোবাইল ফোন হাতে সিরিয়া থেকে আসা পাঁচ বছর বয়সি সান্দি ইয়াযজি৷ ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইউরোপে ১ লাখ ৭০ হাজার তরুণ শরণার্থী এসেছেন৷ এদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি৷
যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে অনেক দূরে
সিরিয়ার শহর বানিয়াস থেকে আসা শরণার্থী শিশু সহোদর মুসতাফা ও আবুদল রাহমান আরো দুই শিশুর সঙ্গে মিলে টেবিল ফুটবল খেলছে৷ কর্তৃপক্ষ সব বয়সিদের বিনোদনের জন্য কিছু না কিছু ব্যবস্থা রেখেছে৷