বাঁচাতে হবে ‘স্টার ওয়ার্স' সেট
২ মে ২০১৪তখনও কম্পিউটার ঘরে-ঘরে ছড়িয়ে পড়েনি, মোবাইল ফোন তো দূরের কথা৷ অথচ চোখ ধাঁধানো ‘স্পেশাল এফেক্ট' একটা গোটা নক্ষত্রপূঞ্জের জগত রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিল৷ গ্রহান্তরের আজব সব প্রাণী, বিশাল মহাকাশযান, লেজার তরবারি ও ‘জেডাই নাইটস' বীর যোদ্ধাদের কীর্তিকলাপ গোটা বিশ্বের দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল৷
সত্তরের দশকে গ্রহান্তরের জগতের একটা অংশ গড়ে তোলা হয়েছিল টিউনিশিয়ার দক্ষিণের মরুভূমিতে৷ ছবির মূল চরিত্র লিউক স্কাইওয়াকার-এর টাটুউন গ্রহের ‘লোকেশন' ছিল সেই অঞ্চলে৷ ছবির আরও কিছু দৃশ্য তোলা হয়েছে আশেপাশের অঞ্চলে৷ পরে সিরিজের ‘ফ্যান্টম মেনেস' ছবির স্পেসপোর্ট বা মহাকাশযানের বন্দরও গড়ে তোলা হয় সেখানেই৷ ফলে ‘স্টার ওয়ার্স' সিরিজের ভক্তদের কাছে প্রায় তীর্থস্থান হয়ে উঠেছিল সেই অঞ্চল৷ দলে দলে পর্যটকরা সেখানে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে এসেছেন ছবির সেট৷ সরকার ও প্রশাসনও এই আকর্ষণের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে এসেছে৷ কিন্তু আজ সেই এলাকা বিপন্ন হয়ে উঠেছে৷ মরুভূমি গোটা অঞ্চল গ্রাস করে নিচ্ছে৷ সেটের অংশবিশেষ এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে৷ প্রকৃতির এই আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে চাই অনেক অর্থ৷ সরকার তাই সাহায্যের ডাক দিচ্ছে৷
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অভিনব উদ্যোগ শুরু করেছেন ‘স্টার ওয়ার্স' ফ্যানরা৷ তাঁরা সম্প্রতি রাজধানী টিউনিসের রাজপথে এক প্যারেড-এর আয়োজন করেন৷ ছবির অনেক চরিত্রের বিদঘুটে পোশাক পরে তাঁরা পথে নেমেছিলেন৷ ফ্যারেল উইলিয়ামস-এর ‘হ্যাপি' গানের ভিডিওর একটি সংস্করণও তৈরি করেছেন তাঁরা সেই পোশাক পরে৷ ইউটিউবে প্রায় ১৭ লক্ষ হিট পেয়েছে সেটি৷ আগামী ৪ঠা মে ‘স্টার ওয়ার্স ডে' ঘোষণা করা হয়েছে৷ সে দিনও ‘স্টার ওয়ার্স'-কে ঘিরে অনেক উন্মাদনার প্রত্যাশা রয়েছে৷
‘মে দ্য ফোর্স বি উইথ ইউ' – অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভর জয় হোক – ‘স্টার ওয়ার্স' দর্শনের এই বেদবাক্য টিউনিশিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, এমনটাই আশা করছে সবাই৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)